• ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২
  • " />

     

    তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের গুরুত্ব আসলে কোথায়?

    তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের গুরুত্ব আসলে কোথায়?    

    তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নিয়ে ফুটবল সমালোচক, এমনকি খেলোয়াড়দের রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্য। কেউ কেউ এই ম্যাচটার কোনও গুরুত্বই দেখেন না, আবার কোনও কোনও দেশ এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বের কাছে একটা বার্তা দেওয়ার সুযোগ পান।

    যেমন ধরুন গত ইউয়েফা নেশন্স লিগের তৃতীয় স্থানের ম্যাচ জয়ের পর এই ম্যাচ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন থিবো কোর্তোয়া, " দেখুন এই ম্যাচটা আমাদের শুধু খেলতে হয় বলে আমরা খেলি। খেলাটা এখন শুধুই টাকার খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর আমি মনে করি এটা নিয়ে আমাদের সততার সাথে কথা বলা উচিৎ। ইউয়েফা এই ম্যাচ দিয়ে আরও বেশি কিছু টাকা পায় বলেই আমাদের এই ম্যাচ খেলতে হয়।"

    বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ জেতার পরেও বেলজিয়ামের মাঝে ছিল এই অসন্তোষ। বেলজিয়ামের বোর্ডের হয়তো অর্থবিত্ত রয়েছে, সেই সাথে রয়েছে যশ-খ্যাতি। বেলজিয়ামের খেলোয়াড়দের সাথে দ্বিমত পোষণের খুব একটা সুযোগ নেই। তবে সেই সাথে এটাও সত্য অনেক দলের জন্য অর্থ যেমন জরুরী, তেমনই কষ্টকর এক যাত্রার শেষে গলায় পদক জড়াতে পারাও অনেক দলের জন্য বড় একটা অর্জন।

    ম্যাচটাও মূলত প্রাইজমানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় স্থানে শেষ করা দল পায় ২৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার যেখানে চতুর্থ স্থানে শেষ করা দল পাবে ২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার। এবারের বিশ্বকাপের মোট প্রাইজমানি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। সেখান থেকে নিজেদের কষ্টের যাত্রার স্মারক ও সম্মানী হিসেবে অর্থটাও অনেক দলেরই প্রয়োজন। এক নজরে দেখে আসা যাক কোন দল কেমন অর্থ নিয়ে ফিরবে বিশ্বকাপ থেকে।

     

    চ্যাম্পিয়ন: ৪২ মিলিয়ন ইউএস ডলার

    রানার্স আপ: ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার

    তৃতীয় স্থান: ২৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার

    চতুর্থ স্থান: ২৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার

    কোয়ার্টার ফাইনাল: ১৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার

    শেষ ষোল: ১৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার

    গ্রুপ রাউন্ড: ৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার