কাতার যেভাবে একটুকরো মরক্কো
একের পর এক চমক দেখিয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠে গেছে মরক্কো। কাতার নিজেদের দেশ না হলেও গ্যালারিতে পাচ্ছে দুর্দান্ত সমর্থন, মরক্কোর সমর্থকরাই মাতিয়ে রাখছেন গ্যালারি। ধারণা করা হচ্ছে, সেমিফাইনাল উপলক্ষে আরও অন্তত ১০ হাজার দর্শক আসবেন কাতারে।
মরক্কো থেকে বেশ কিছুটা দূরে হলেও কাতার বিশ্বকাপে শুরু থেকেই আসছে মরক্কো সমর্থকেরা। এর পেছনে রয়েছে মরক্কোর ফুটবল ফেডারেশন ও তাদের জাতীয় এয়ারলাইন্সের অবদান। দোহা থেকে রাবাতে ২৪ ঘন্টা ফ্লাইট চালু আছে। অনেকে খেলা দেখে এসে আবার ফিরে যাচ্ছেন মরক্কোতে। ধারণা করা হচ্ছিল, অন্তত শুধু মরক্কো থেকেই ১৫ হাজার সমর্থক গেছেন খেলা দেখতে। এর বাইরে বিশ্বের আরও নানা দেশ থেকে আরও অনেক মরোক্কান আসছেন। সব মিলে ফ্রান্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রায় ৪৩ হাজার সমর্থক মরক্কোর হয়ে গলা ফাটাতে পারেন।
মরকো থেকে প্রতিদিন সাতটি ফ্লাইট এখন আসছে দোহার হাম্মাদ বিমানবন্দরে। প্রতি রাউন্ড ট্রিপের জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ৪৭০ ডলারের মতো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৭ হাজার টাকার কাছাকাছি। সবকটি টিকটই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। প্রতি ফ্লাইটে প্রায় ২৭০-৩০০ জন যাত্রী উঠছে। সব মিলে প্রায় আড়াই হাজার দর্শক সেমিফাইনালের ঠিক আগেই পৌঁছাবেন।
সমস্যা হচ্ছে, এত দর্শকের জন্য পর্যাপ্ত টিকিট। আগে থেকেই অনেক টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। মরক্কোর কাতার দূতাবাস বিশেষ ব্যবস্থায় ৫ হাজার টিকিট ব্যবস্থা করেছে। গ্যালারিতে সিংহভাগ মরক্কোন সমর্থন থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সব মিলে শুধু সেমিফাইনালের দিনই কাতারে থাকবে প্রায় ৩০ হাজার মরক্কো থেকে আসা লোক। আর এর বাইরে অভিবাসীদের মিলিয়ে সংখ্যাটা বাড়বে আরও অনেক।