যে কারণে ‘লিটল স্পাইডার’ ডাকা হয় আলভারেজকে
আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপ মাতানো হুলিয়ান আলভারেজের একটি মজার ডাকনাম রয়েছে। এই ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার ‘লিটল স্পাইডার’ হিসেবে পরিচিত, আর্জেন্টিনায় তাকে ডাকা হয় ‘এল আরানিতা’ বলে। সাবেক দল রিভার প্লেটে খেলার সময় স্পাইডারম্যানের মাস্ক পরে উদযাপন করারও নজির আছে তার।
কিন্তু এই নামের সূত্রপাত কোথায়?
হুলিয়ান আলভারেজ বেড়ে উঠেছেন আর্জেন্টিনা কর্দবা প্রদেশের কালচিন নামের এক গ্রামে। সেখানে জন্মের পর থেকেই বড় ভাইদের ফুটবল খেলতে দেখেছেন তিনি। এবং হাঁটাচলা শুরু করার পর থেকে ভাইদের সঙ্গে খেলাও শুরু করে ছোট্ট আলভারেজ।
আলভারেজের প্রথম কোচ রাফায়েল ভারাস দ্য অ্যাথলেটিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তখন তার বয়স দুই বছর। আমার ফুটবল স্কুলে ভাইদের সঙ্গে ট্রেনিংয়ে এসেছিল সে। মাঠে এসেই বল নিয়ে দৌড়ানো শুরু করলো সে, এক মাথা থেকে আরেক মাথা। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছিল বলের সাইজ ওর চেয়ে বড়।”
এরকম এক সময়েই ‘এল আরানিতা’ ডাকনামটা পান আলভারেজ। পিচ্চি হুলিয়ানকে খেলতে দেখে একদিন তার এক ভাই বলে বসেন, “দেখ দেখ, যেন ছোট একটা মাকড়সা!” এবং বাকি সবাই একমত হন। বল পায়ে হুলিয়ানের গতিবিধি যেন বহুপদী মাকড়শার মতোই।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলভারেজ বলেন, “ভাইয়ের দেওয়া সেই নাম থেকে গেছে। নামটা আমার বেশ পছন্দ। এজন্য বড় হওয়ার পরও ফেলে দেইনি।”
ভারাস তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, “তার ভাইয়েরা যখন ট্রেনিং করত তখন ছোট্ট হুলিয়ান পাশ থেকে তাদের অনুকরণ করার চেষ্টা করত। সাড়ে তিন বছর বয়সে সে আমার স্কুলে ভর্তি হয়। অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলার সময়ই তার প্রতিভা চোখে পড়ত। আমি মজা করে ওকে বলতাম, ক্র্যাক (একবারই আসে এমন প্রতিভা)। আসলেই তাই হয়েছে।”
কালচিন গ্রাম থেকে বড় হওয়া এমবাপে পরবর্তীতে খেলেন আর্জেন্টিনার অন্যতম বড় দল রিভার প্লেটে, যেই ক্লাব তার বাসা থেকে ৪০০ মাইল দূরে। এরপর গত মৌসুমে যোগ দেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটিতে। আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ডে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর দেখানো আলভারেজ নিজের জাত চেনাচ্ছেন বিশ্বকাপেও। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে জোড়া গোল করা এই স্ট্রাইকার রোববারের ফাইনালেও সম্ভবত থাকছেন শুরুর একাদশে।