শীর্ষ তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাচ্ছেন কে?
প্রতি বিশ্বকাপেই নিজেদের আগমনবার্তা জানায় কিছু প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড়। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলে, ‘৯৮ বিশ্বকাপে মাইকেল ওয়েন, ‘১০ বিশ্বকাপে টমাস মুলার ও সর্বশেষ বিশ্বকাপে কিলিয়ান এমবাপে কেড়েছিলেন লাইমলাইট।
বিশ্বকাপের বছর শুরু হওয়ার দিনে ২১ বা তারচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড়দের বিবেচনা হয় টুর্নামেন্টসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের জন্য (যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় ফিফা ইয়ং প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড)। মুলার, পগবা, এমবাপের পর এবার এই পুরস্কার জিততে পারেন কে, চলুন দেখে নেওয়া যাক-
জোস্কো ভার্দিওল (ক্রোয়েশিয়া)
টুর্নামেন্টে যে কয়েকটি দল রক্ষণের উপর নির্ভর করে সাফল্য পেয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ক্রোয়েশিয়া। ক্রোয়েটদের গুছানো রক্ষণে নেতৃত্ব দিয়েছেন লাইপজিগের ২০ বছর বয়সী ডিফেন্ডার জোস্কো ভার্দিওল। ম্যাচপ্রতি ১.৩ টি ট্যাকেল, ১.৩টি ইন্টারসেপশন ও ৫.৫টি ইন্টারসেপশন করা ভার্দিওল টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল ডিফেন্ডারদের একজন। বর্ষীয়ান দেঁজান লভ্রনকে সাথে নিয়েও তিনটি ক্লিনশিট রেখেছেন এই তরুণ সেন্টারব্যাক। শুধু লিওনেল মেসিই তাকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
এনজো ফার্নান্দেজ (আর্জেন্টিনা)
ভার্দিওলের মতো ফার্নান্দেজও টুর্নামেন্টে এসেই তার জাত চিনিয়েছেন। মেক্সিকোর বিপক্ষে বদলি নেমে দুর্দান্ত একটি গোল করে নিজের আগমন বার্তা জানিয়েছিলেন, এরপর শুরু করেছেন আর্জেন্টিনার সবকটি ম্যাচেই। নকআউট পর্বে প্রতিটি মিনিট খেলেছেন এই সেন্টার মিড। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করলেও এই বেনফিকা তারকার সৃজনশীলতা ও বক্স-টু-বক্স খেলার সামর্থ্য নজরে এসেছে পুরো ফুটবল বিশ্বের। এই ২১ বছর বয়সীকে দলে ভেড়ানোর জন্য ইতোমধ্যে লাইনে দাঁড়িয়েছে শীর্ষস্থানীয় কিছু ইউরোপিয়ান ক্লাব।
জুড বেলিংহাম (ইংল্যান্ড)
বেলিংহামের গল্পটা একটু আলাদা। টুর্নামেন্ট শুরু আগেই যেই কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়ের উপর উঁচু প্রত্যাশা ছিল সবার, তাদের একজন ছিলেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। ১৯ বছর বয়সী বেলিংহাম প্রত্যাশার প্রতিদান দিয়েছেন ভালোভাবেই। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ট্যাকেল করা (১৬), সর্বোচ্চ ডুয়েল (৩৩) ও বলের দখল জেতা (৩১) বেলিংহাম নিঃসন্দেহে টুর্নামেন্টের শীর্ষ মিডফিল্ডারদের একজন। সৃজনশীলতা, ইচ্ছাশক্তি ও নেতৃত্বগুণ দিয়ে সবাই মুগ্ধ করা বেলিংহাম শুরু করেছেন ইংল্যান্ডের প্রতিটি ম্যাচে। এই জেনারেশনাল প্রতিভাকে দলে ভেড়াতে ইতোমধ্যে আলোচনা চালাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুলের মতো ক্লাব।
অরেলিয়েন সুয়ামেনি (ফ্রান্স)
পল পগবা ও এনগোলো কান্তে ইনজুরড হওয়ার পর অপ্রত্যাশিতভাবেই ফরাসি মিডফিল্ডের মূল দায়িত্ব গিয়ে পড়ে ২২ বছর বয়সী সুয়ামেনির ঘাড়ে। মিডফিল্ড পিভটের অপর খেলোয়াড়, আদ্রিয়েন রাবিও সামনে খেলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় মধ্যমাঠে বল ক্লিয়ার দায়িত্ব একাই নিতে হয়েছে তাকে। বক্স-টু-বক্স খেলে অভ্যস্ত এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার গোলও। সেমিতে মরক্কোর বিপক্ষেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া সুয়ামেনি ফ্রান্সের উজ্জ্বল তারকাদের একজন।