কে জিতবে এবারের গোল্ডেন বুট?
বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত এবার থাকছে গোল্ডেন বুটের উত্তেজনা। গোল্ডেন বুটের জন্য লড়াই করা চার জনের সামনে থাকছে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার হাতছানি। এবারের চার জনের মধ্যে কেউই এর আগে জেতেননি গোল্ডেন বুট। দলকে বিশ্বকাপ এনে দিতে গোলের দেখা পেলে এই চার জনের যেকোনো একজনের সামনে তাই থাকছে গোল্ডেন বুট জয়ের সম্ভাবনা।
লিওনেল মেসি
অ্যাসিস্টে যৌথভাবে সেরা, ২০১৪ সালের পর আরও একবার গোল্ডেন বলের বড় দাবীদার। নিজের দলকে ফাইনাল নিয়ে যেতে লিওনেল মেসি অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন গোল দিয়েও। যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও তিনি। অ্যাসিস্ট বেশি হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত গোল্ডেন বুটের দৌড়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। ফাইনালে গোল দিয়ে গোল সংখ্যা আরও বাড়িয়ে নিতে পারবেন নাকি সেটা সময়ই বলবে। তবে এই বিশ্বকাপেই এক আসরে মেসি নিজের সর্বোচ্চ গোলের দেখা পেয়েছেন, সেই সাথে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন।
কিলিয়ান এমবাপে
গতবার পেয়েছিলেন ৪ গোল, এবার ম্যাচেই পেয়ে গিয়েছিলেন ৫ গোল। গত দুই ম্যাচে গোল না পাওয়ায় গোল্ডেন বুটের দৌড়ে মেসি তাকে ধরে ফেলেছেন, সেই সাথে অ্যাসিস্টেও এগিয়ে গিয়ে আপাতত নিজেকে ওপরে নিয়ে গিয়েছেন। তবে গতবার ফাইনালে এমবাপে কী করেছিলেন সেটা তো সহজে ভোলার নয়। এবারও ফাইনালে গোল পেলে এবার হয়ত তার পায়েই যাবে গোল্ডেন বুট।
হুলিয়ান আলভারেজ
মেসিকে যখন ঘিরে ফেলা হয় তখনই যেন রক্ষণচেরা পাসের জন্য আলভারেজকেই খুঁজতে থাকেন তিনি । অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই আলো ছড়াচ্ছেন আলভারেজ। সেমি-ফাইনালে এমনকি পেলের পর সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে জোড়া গোলের রেকর্ডও গড়লেন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। কম সময় মাঠে কাটানোর জন্য গোল্ডেন বুটের দৌড়ে ৩য় স্থানে আছেন ৪ গোল দেওয়া আলভারেজ।
অলিভিয়ের জিরু
ফ্রান্সের হয়ে গত বিশ্বকাপে গোল না পাওয়ার আক্ষেপ যেন এবার কড়ায় গন্ডায় পুষিয়ে নিচ্ছেন জিরু। ফ্রান্সকে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে তুলতে তার অবদান অনস্বীকার্য। আগের মত দুই উইংকে ফাঁকায় বল ছাড়তে ভুমিকা তো পালন করেছেন বটেই সেই সাথে দিয়েছেন ৪টি গোল। আলভারেজের সমান গোল দিয়েছেন, নেই দুজনের কোনও অ্যাসিস্ট। তবে ৩৬৪ মিনিট খেলা আলভারজের বিপরীতে জিরু ৩৮৩ মিনিট খেলায় গোল্ডেন বুটের দৌড়ে ৪র্থ স্থানে আছেন।