তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচকে ক্রামারিচ দেখছেন দেশের হয়ে ইতিহাসে 'অমর' হয়ে থাকার সুযোগ হিসেবে
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নিয়ে বহু বছর ধরেই হয়ে আসছে আলোচনা-সমালোচনা। ম্যাচটার আদৌতে কোনও গুরুত্ব আছে কিনা সেটা নিয়ে যেমন অনেকেই বিতর্ক করেন তেমনই অনেক খেলোয়াড়ের কাছে ম্যাচটা ঠিক টুর্নামেন্টের আবহের সাথে মানানসই নয়। বাদ পড়ার পর এই ম্যাচটা খেলার জন্য খেলোয়াড়দের মনের মাঝ থেকেই বা কতটা জোর আশা করা যায়! বিষয়টাকে অবশ্য একেবারেই সেভাবে দেখেন না ক্রোয়েশিয়া ফরওয়ার্ড আন্দ্রেয়া ক্রামারিচ। বিশ্বকাপে এসে যেই শ্রম খেলোয়াড়েরা দেন, সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত আসার যোগ্যতা অর্জনের জন্য যেই বন্ধুর পথ দলগুলোকে পাড়ি দিতে হয় সেই পথের শেষাংশে আত্মতৃপ্তির একটা সুযোগ হিসেবেই দেখছেন তিনি ম্যাচটাকে। সেই সাথে এই ম্যাচটা অনেক দলকেই ‘অমরত্ব’ এনে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে বলেও মনে করেন তিনি।
বিশ্বকাপ থেকে একটা পদক গলায় ঝুলিয়ে বাড়ি ফেরার মাঝে যে তৃপ্তি আছে সেটাই খোলাসা করতে গিয়ে ক্রামারিচ বলেন, “রাশিয়া বিশ্বকাপের ৮ জন এবারও আমাদের দলে আছে। আমরা ভালমতই জানি সেটার অনুভূতি কেমন। আর যাদের এখনও সেই সৌভাগ্য হয়নি তারাও সেটার জন্য মুখিয়ে আছে। এটা তো সারা জীবন বয়ে বেড়ানোর মত একটা সুখস্মৃতি, যে কেউই চাইবে সেটা।”
এমনকি ম্যাচটা যে অনেক দলের জন্য ভীষণ গুরুত্ববহ সেটা বোঝাতে প্রতিপক্ষ মরক্কোর কথাও উদাহরণ হিসেবে এনেছেন তিনি, ”আমার তো মনে হয় আপনি যদি মরক্কোর খেলোয়াড়দের এই প্রশ্ন করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন যে তারা মোটেও ম্যাচটাকে এই দৃষ্টিতে দেখছে না। জীবনের জন্য প্রতিদিন লড়ে যাওয়া মানুষগুলোর মাঝে যখন বিশ্বমঞ্চ থেকে পদক নিয়ে আপনি ফিরবেন, তখন তারা আপনাকে জাতীয় নায়ক হিসেবে বরণ করে নিবে, দেশের মানুষের স্মৃতিতে আপনি অমর হয়ে থাকবেন। আমরাও তো সেটা চাই, আমরাও পদকের জন্য সমানে সমানে লড়ব।”
গ্রুপ রাউন্ডে এই দুই দল নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিল একে অপরের। সেবারের ম্যাচটা গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয়েছিল। গত বিশ্বকাপে রৌপ্য পদক পাওয়া ক্রামারিচরা তাই এবারও একটা পদক নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাইবেন, যেখানে তাদের পথের কাঁটা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম পদকের খোঁজে থাকা মরক্কো।