শ্রীলংকার বিপক্ষে ধবলধোলাই থেকে কী কী শিক্ষা পেল বাংলাদেশ?
আনুষ্ঠানিকতাই বাকি ছিল কেবল। পঞ্চম দিনের সকালে সেটাও শেষ হয়ে গেল। তাইজুল ইসলামের আউটের পর হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদও টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। মেহেদী হাসান মিরাজের ৮১ রানের ইনিংসটা পরাজয়ের ব্যবধানই একটু কমিয়েছে। ১৯২ রানে হেরে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ।
এই সিরজটা হয়ে থেকেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার চরম এক দৃষ্টান্ত। দুই সিরিজ মিলে শুধু একটা ইনিংসেই ২০০ রান ছাড়াতে পেরেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ছাড়া বাকি সব ব্যাটসম্যান ছিলেন কমবেশি ব্যর্থ। মুমিনুলের পর এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি যিনি বাংলাদেশের হয়ে বল খেলেছেন তিনি একজন পার্টটাইমার তাইজুল ইসলাম।
এই সিরিজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের প্রস্তুতির অভাব। চার মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে বাংলাদেশি ব্যাটারদের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই সিরিজের আগে বিসিবি কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ রাখেনি কেন সেটা নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা। এই প্রস্তুতির অভাবটা স্বীকার করে নিয়েছেন মুমিনুল। বিপিএল খেলার পর টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলে বাংলাদেশি ব্যাটাররা টেস্টের বলয়েই ঢুকতে পারেননি।
আরেকটা ব্যাপার মুমিনুল স্বীকার করে নিয়েছেন, বাংলাদেশি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে ফারাক। এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যর্থ মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেনরা জাতীয় লিগে রান করেছেন নিয়মিত। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে নামলেই তাদের সামর্থ্যের পরীক্ষা হয়ে যাচ্ছে। মুমিনুলের মতো অভিজ্ঞরাই কেবল রান পাচ্ছেন।
আরেকটা ব্যাপার এই সিরিজে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে সেটা দুই দলের ফিল্ডিং। বাংলাদেশ চট্টগ্রাম টেস্টের শুধু প্রথম ইনিংসেই ৭টি ক্যাচ মিস করেছে। পুরো সিরিজে ক্যাচ মিস করেছে অন্তত ১৫টি। সিলেটে শুন্য রানে জীবন পেয়ে কামিন্ডু মেন্ডিস পেয়েছেন সেঞ্চুরি। যেখানে শ্রীলংকা বাংলাদেশের ইনিংসে হাফ চান্সকে বানিয়েছে ফুল চান্স।