• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    কেন নিষিদ্ধ হতে পারেন মার্শ?

    কেন নিষিদ্ধ হতে পারেন মার্শ?    

    কৌতুক করলেও বিপদে পড়তে হতে পারে - সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেতে পারে অস্ট্রেলিয়া। বেফাঁস মন্তব্য, বা কৌতুক, বা আসল পরিকল্পনা - যেটাই হোক, সংবাদ সম্মেলনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের অধিনায়ক মিচেল মার্শকেই বিপদে ফেলে দিয়েছেন জশ হেজলউড। ইংল্যান্ডকে এড়াতে নিজেদের ও টুর্নামেন্টের স্বার্থে স্কটল্যান্ডের সাথে ফলাফলটা নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার কথা বলে এখন নিজে তো আইসিসির নজরে এসেছেন, সেই সাথে ম্যাচ ও ম্যাচের ফলাফলের ওপর গভীর নজর রেখে মিচেল মার্শকে নিষিদ্ধও করতে পারে আইসিসি, যদি ব্যাপারটা অতদূর গড়ায়।

     

     

    প্রসঙ্গটা উঠেছে নামিবিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয় দিয়ে সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার জায়গা করে নেওয়ার পর। বর্তমানে এই গ্রুপে দুইয়ে আছে স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ডের সাথে যাদের ইতোমধ্যেই ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টিতে সেই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর দাপুটে দুই জয় পেয়েছে স্কটল্যান্ড। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এরপর হেরে খাদের কিনারে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সামনে তাই স্কটল্যান্ডকে তোলার একটা সুযোগ থাকছে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই হেজলউড বলেছেন, " এই টুর্নামেন্টে সামনে আবার হয়ত ইংল্যান্ডের সাথে দেখা হয়েই যেতে পারে। ওদের দিনে ওরা বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটা, আর এটা তো আলাদা করে বলার দরকার নেই যে এই ফরম্যাটে ওদের সাথে আমাদের একটু ধুঁকতেই দেখা গিয়েছে। তাই ওদের বিদায় জানানোর এই সুযোগটা লুফ নিলে তো আমাদের ভালো হবেই, বলা বাহুল্য অন্যদেরও তা কাজে দিবে।"

    স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া যদি আসলেই হেরে বসে তাহলে ইংল্যান্ডের সামনে আর কোনো সুযোগ থাকছে না। এমনকি অস্ট্রেলিয়া জিতলেও যদি ব্যবধানটা কম হয় সেটাও ইংল্যান্ডের বিদায়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেটা নিয়েও হেজলউড একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন। যেহেতু গ্রুপ পর্বের রান রেট সুপার এইটে যোগ হচ্ছে না, তাই নেট রান রেট নিয়ে কোনো দলের চিন্তা থাকবে না সেই অর্থে। এটা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই যেন মার্শকে আরও বিপদে ফেলে দিয়েছেন হেজলউড।

    আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের ২.১১ ধারা অনুযায়ী, ট্যাক্টিকাল বা কোনো পরিকল্পনা প্রসূত কারণে কোনো দল যদি ইচ্ছা করেই আইসিসি ইভেন্টের কোনো পুল ম্যাচ হারে, আর সেটা যদি গ্রুপে অন্য কোনো দলের অবস্থান নির্ধারণ করতে করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এই ধারার মধ্যে অপরাধ হিসেবে "নেট রান রেট পরিবর্তনে অপ্রীতিকর কোনো কারসাজি" করার কথা পরিস্কারভাবেই বলা আছে। আর এরকমটা করা হলে অধিনায়ককেই শূলে চড়ানো হবে। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় কমপক্ষে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা থেকে সর্বোচ্চ চার ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে আবার দুই সাসপেনশন পয়েন্টও যোগ হবে। এমনটা হলে সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচে আর খেলা হবে না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের। তবে এটা আসলে বের করার পন্থা কী সেটা নিয়ে কোনো লিখিত নির্দেশনা নেই। কোনো একটা দল ইচ্ছে করেই এমনটা করছে কি না, সেটা তাই মাঠের আম্পায়ারদের বের করা কঠিন। আইসিসি অবশ্য পরিস্কার করে বলে দিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওপর কড়া নজরদারি থাকছে এই ম্যাচে।