• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    মাঝের চাপ সামলে পাওয়েল, পুরান, চার্লস, রাদারফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৮০

    মাঝের চাপ সামলে পাওয়েল, পুরান, চার্লস, রাদারফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৮০    

    সুপার এইট, গ্রস আইলেট (টস - ইংল্যান্ড/বোলিং)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ - ১৮০/৪, ২০ ওভার (চার্লস ৩৮, পাওয়েল ৩৬, পুরান ৩৬, মঈন ১/১৫, রশিদ ১/২১, লিভিংস্টোন ১/২০)




    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে হলেও শুরুটা দারুণ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। একাদশে ফেরা মার্ক উডের গতি কাজে লাগিয়ে ছুটছিলেন ব্র্যান্ডন কিং। পঞ্চম ওভারে এসে অবশ্য অনেকটুকু এগিয়ে একটা শট খেলতে গিয়েই হয়ত টান খেয়েছিলেন। ১৩ বলে ২৩ রানে থাকা কিংকে তাই মাঠ ছাড়তে হয় আহত হয়ে। তবুও পাওয়ারপ্লেতে ৫৪ রান আসায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকেই হেলে ছিল ম্যাচের পাল্লা।

    সেখান থেকে নিকোলাস পুরানকে সঙ্গী করে জনসন চার্লস হাত খোলার চেষ্টা করলেও ইংলিশ বোলাররা চেপে বসেন। বিশেষ করে মঈন আলীকে খেলতে দুজনের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। স্পিনারদের বাগে পেলে দুজনেই বাউন্ডারি বের করতে ভুল না করলেও ইংলিশদের বিচক্ষণ বোলিংয়ে চড়াও হতে পারছিলেন না কেউই। তারই পরিক্রমায় চার্লসকে জায়গা বানাতে দেখে বেশ বাইরে মঈন বল দিলে সজোরে ব্যাট চালালেও বাতাসের কারণে চার্লসের শট জায়গা করে নেয় হ্যারি ব্রুকের মুঠোয়। ৩৪ বলে ৩৮ রানে তিনি থামলে ব্যাটিং অর্ডারে উঠে এসে আক্রমণের ইঙ্গিত দেন প্রথম ওভারেই ছয় মেরে বসা অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল।

    মাঝে বাটলার এক ওভারের জন্য লিয়াম লিভিংস্টোনকে আনলে তাকে তিন ছয় মেরে বসেন পাওয়েল। অবশ্য শেষ বলে তার ব্যাটের কানা খুঁজে ১৭ বলে ৩৬ রানে পাওয়েলকে থামিয়ে শেষ হাসি হাসেন লিভিংস্টোন। অন্য প্রান্তে সুযোগ খুঁজতে থাকা পুরানও এরপর থামেন আক্রমণে ফেরা আর্চারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে, ৩২ বলে ৩৬ রানে।  

     

    রাসেলকে এরপর নামানো হলেও দুর্দান্ত এক স্পেল করা রশিদের শেষ ওভারে গুগলি পড়তে না পেরে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে এক অংকের ঘরেই ফেরেন তিনি। স্যাম কারান, আর্চারদের বদৌলতে এরপর খুব একটা গতি পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। উডের গতিকে ঢাল বানিয়ে শেষ দিকে শেরফেন রাদারফোর্ড ১৭ বলে ২৮* রান করলেও শেষটায় ইংল্যান্ড হয়ত বেশি খুশি থাকবে।