• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    অ্যান্টিগায় অজিদের যেভাবে আটকাবে বাংলাদেশ

    অ্যান্টিগায় অজিদের যেভাবে আটকাবে বাংলাদেশ    

    চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রথম দুটো ম্যাচের ভেন্যু অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম।অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিপক্ষে এই মাঠেই মুখোমুখি হবে টাইগাররা। কেমন হওয়া উচিত এই ম্যাচে বাংলাদেশের কৌশল?

    দ্বীপরাষ্ট্র অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার সেইন্ট জর্জের নর্থ সাউন্ডে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি। ২০০৭-এর ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই স্টেডিয়ামটি। সুপার এইটের চারটা ম্যাচসহ চলতি বিশ্বকাপের আটটা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। বিশ্বকাপের আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২১ সালে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আঞ্চলিক বাছাইপর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ইউএসএ, কানাডা, আর্জেন্টিনার মতো দলগুলো। ২০১৪ সালের পর এই মাঠে সিপিএলের কোন ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়নি।

     

    তবে ২০২৩ এর ডিসেম্বরে এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল দুটো ম্যাচে। হাইস্কোরিং, লো স্কোরিং দুই ধরনের ম্যাচই দেখা গিয়েছিল। তবে বোলারদের মধ্যে উইকেট প্রাপ্তির দিক থেকে পেসার এবং লেগ স্পিনাররাই এগিয়ে ছিলেন।

     

    ওই দুটো ওয়ানডের মতো চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে তিনটাতেই জয়ী হয়েছে পরে ব্যাটিং করা দল। ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উড আর জফরা আর্চারের সাথে লেগ স্পিনার আদিল রশিদ ধ্বসিয়ে দিয়েছিলেন ওমানের ব্যাটিং লাইন।

    ওদিকে নামিবিয়ার বিপক্ষে অজি পেসার জশ হ্যাজেলউড আর মার্কাস স্টয়নিসের পাশাপাশি উইকেট পেয়েছেন লেগি অ্যাডাম জাম্পাও। অর্থাৎ নতুন বলে বোলিং এবং ব্যাটিং, বাংলাদেশকে সচেতন হতে হবে উভয়ে ক্ষেত্রেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হ্যাজেলউড-স্টার্কের গতি এবং সুইং সামলানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে তানজীদ, লিটন এবং শান্তকে। মিডল অর্ডারের সামলাতে হবে জাম্পাকে।

    চলতি বিশ্বকাপে অ্যান্টিগাতে যেমনটা দেখা যাচ্ছে, পেসাররা নতুন বলে সামান্য সুইংয়ের সাথে বাড়তি বাউন্স পাবেন, তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে পিচ ব্যাটিংবান্ধব হবে। সব মিলিয়ে, টসে জিতলে বাংলাদেশ হয়তো বোলিংটাই করতে চাইবে।পেসারদের ওপর দায়িত্ব থাকবে অজি ওপেনারদের আটকানোর।অজি ওপেনাররা ফর্মে আছেন, এদিকে আগুন ঝরাচ্ছেন তাসকিন-তানজিম-মোস্তাফিজও। দুইপক্ষের লড়াইটা তাই সেয়ানে সেয়ানে হতেই পারে। এদিকে অজি মিডল অর্ডারের পরীক্ষাটা নিতে হবে দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান এবং রিশাদ হোসেনকে।

    আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে লেগ স্পিনের বিপক্ষে অধিনায়ক মার্শ এবং ওয়েডের দুর্বলতা লক্ষ্যণীয়। ওদিকে মার্কাস স্টয়নিসকে ভোগাতে পারে সাকিবের বাঁহাতি স্পিন। অফ স্পিনের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েল-স্টয়নিস-ডেভিডের রেকর্ড খুবই ভালো। মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি অতিরিক্ত স্পিনার হিসেবে মাহেদীকে খেলানোর সম্ভাবনা তাই খুবই ক্ষীণ।

     

    তবে শুধু ব্যাট-বলের লড়াই-ই নয়, মনে রাখতে হবে অ্যান্টিগার বৃষ্টিকেও। আগামী চার-পাঁচদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অ্যান্টিগাতে, আবার এই মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেমও তেমন সন্তোষজনক নয়। সুপার এইটে ‘মাইটি অজি’দের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে তাই অনেকগুলো ব্যাপারই মাথায় রাখতে হচ্ছে!