• টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
  • " />

     

    কামিন্সের হ্যাটট্রিক সামলে শতরানের ওপেনিং জুটিতে ভর করে আফগানদের সংগ্রহ ১৪৮

    কামিন্সের হ্যাটট্রিক সামলে শতরানের ওপেনিং জুটিতে ভর করে আফগানদের সংগ্রহ ১৪৮    

    সুপার এইট, কিংসটাউন (টস - অস্ট্রেলিয়া/ফিল্ডিং)
    আফগানিস্তান - ১৪৮/৬, ২০ ওভার (গুরবাজ ৬০, ইব্রাহিম ৫১, করিম ১৩, কামিন্স ৩/২৮, জাম্পা ২/২৮, স্টয়নিস ১/১৯)


     

    কিংসটাউনে প্রথম ওভার থেকেই দেখা মিলল তীক্ষ্ণ ঘূর্ণি ও বাউন্সের। টসে জিতে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা তাই দুহাত ভরেই নিয়ে আফগানরা নিজেদের ব্যাটিংটা সেরেছে ভালোমতই। আসরে যেখানে কোনো দলই শতরানের ওপেনিং জুটির দেখা পায়নি সেখানে এবারই তৃতীয়বারের মতো এই কীর্তি গড়লেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ-ইব্রাহিম জাদরান জুটি। তবে রেকর্ড শুধু আজ ওখানেই থেমে থাকেনি; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েছেন প্যাট্রিক কামিন্স। শেষদিকে কামিন্স লাগাম টেনে ধরলেও ফিল্ডিংয়ে বেসামাল অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ লুফে নিয়ে মন্থর উইকেটে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে আফগানরা।

    রয়েসয়ে শুরু করে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই কামিন্সকে দুই চার মেরে হাত খোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুজনে। পাওয়ারপ্লেতে ৪০ রান তোলার পর দুই আফগান ওপেনার উইকেটের মর্ম বুঝে খেলতে থাকেন। একাদশে ফেরা অ্যাগারকে সামলাতে দুজনের বেশ বেগ পেতে হলেও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি গড়ার পর স্টয়নিসের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে হার মানেন গুরবাজ। বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্লোয়ারে ডিপ স্কয়্যার কেগে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৪৯ বলে ৬০ রান করা গুরবাজ।

    ১১৮ রানের দারুণ সেই ওপেনিং জুটি ভেঙ্গেই অবশ্য ম্যাচে ফিরতে শুরু করে অজিরা। তবে বাজে ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস তাদের পিছু ছাড়েনি। গুরবাজকে এর আগে সুযোগ দিয়েছিলেন স্টয়নিস, জাদরানও ফিফটি পেয়ে যান লং অনে অ্যাগারের ফিল্ডিং মিসের সুবাদে। তবে এরপরেই নিজের শেষ ওভার করতে এসে জোড়া আঘাত হানেন জাম্পা। ৪৮ বলে ৫১ রানে থাকা ইব্রাহিমকে থামানোর পর প্রায় এক বাউন্সারে ওমরযাইকে ফেরান জাম্পা। 

    সেখান থেকেই শুরু হয় কামিন্সের জাদু। উইকেট আরও ধরে আসায় একের পর এক স্লোয়ার ও কাটার দিতে থাকেন কামিন্স। আফগানরা রান রেট বাড়াতে রশিদ খানকে নামালেও ১৮-তম ওভারের শেষ বলে তাকে লং অনের ফাঁদে ফেলেন কামিন্স। স্বভাববিরুদ্ধ ফিল্ডিংয়ে পরের ওভারে হেজলউড উইকেট বঞ্চিত হয় ক্যাচ মিসে। শেষ ওভার করতে এসে অবশ্য সুযোগ পাওয়া জানাতের পর উইকেটে আসা নাঈবকেও কামিন্স থামান স্লোয়ারের ফাঁদে ফেলে। তবে সুপার হ্যাটট্রিকটা মিস হয়ে যায় পরের বলেই ওয়ার্নারের মতো ঝানু ফিল্ডার ডিপ স্কয়্যার লেগে সোজা ক্যাচ ফেলে দিলে। শেষ বলে চার মেরে নবী ৪ বলে ১০* রানে থেকে তাই আফগানদের এনে দেন লড়াইয়ের রসদ।