• কোপা আমেরিকা
  • " />

     

    টাইব্রেকারে আবারও আর্জেন্টিনার ত্রাতা এমি মার্টিনেজ

    টাইব্রেকারে আবারও আর্জেন্টিনার ত্রাতা এমি মার্টিনেজ    

    ফুলটাইম স্কোর: আর্জেন্টিনা (৪) ১-১ (২) ইকুয়েডর


    কোপা আমেরিকা দিয়েই কেটেছিল আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক শিরোপা খরা। এই কোপা আমেরিকা দিয়েই বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছিলেন এমি মার্টিনেজ; আসর ঘুরে আবারও টাইব্রেকারে নায়ক সেই এমি। টাইব্রেকারের প্রথম পেনাল্টিটাই লিওনেল মেসি শুরু মিস করলেও আবারও আর্জেন্টিনার নায়ক তাদের গোলকিপার।

    টাইব্রেকার পর্যন্ত খেলা গড়াবে সেটা অবশ্য আর্জেন্টিনা হয়ত আঁচ করেনি। এমন নয় যে আর্জেন্টিনা দাপট দেখিয়েছে। তবে সুযোগ পেয়েও পায়ে ঠেলে দিতে থাকা ইকুয়েডরের ভাগ্যও যেন সুপ্রসন্ন মনে হচ্ছিল না। ম্যাচের শুরু থেকেই অনেক সুযোগ তৈরি করেছিল ইকুয়েডর। মইসেস কাইসেদো তো ভালো সুযোগ পেয়েও লুফে নিতে পারেননি; একটু পরে জেরেমি সারমিয়েন্তো হেঁটেছেন একই পথে। অথচ স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৩৫ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে ওঁত পেতে থাকা লিসান্দ্রো মার্টিনেজ অনেকটা ফ্রি হেডার থেকেই দলকে এগিয়ে দেন। আর্জেন্টিনার হয়ে নিজের প্রথম গোলটা এই ডিফেন্ডার পেলেন বড় মঞ্চেই।

    প্রথমার্ধে ওই এক গোলে এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনার ওপর আবারও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করে ইকুয়েডর। শারীরিকভাবেও আর্জেন্টিনার সামনে কঠিন প্রশ্ন তুলে ইকুয়েডর ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছিল। ৬২ মিনিটের মাথায় তো রদ্রিগো ডি পলের হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টিও পেয়ে যায় তারা। তবে এনার ভ্যালেন্সিয়া সেবার পেনাল্টির দুয়ার থেকে শূন্য হাতে ফিরলেন বল পোস্টে লাগিয়ে।

    নব্বই মিনিট পেরিয়ে গেলে আর্জেন্টিনার এরপর ছিল সেমিতে চলে যাওয়ার অপেক্ষা। তবে এদিন শেষের আগে হার মানতে নারাজ ইকুয়েডর যোগ করা সময়ে ঠিকই সমতা ফেরায়। বক্সে ইয়েবোয়ার বাড়ানো দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান কেভিন রদ্রিগেজ। এমনকি একদম শেষ মিনিটে জয়ের সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। আবারও বক্সে দারুণ এক ক্রস পেয়েও সেবার মাথাটা ছোঁয়াতে পারেননি জরদি কাইসেদো। ফাইনালের আগ পর্যন্ত আসরে অতিরিক্ত সময় না থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

    প্রথম পেনাল্টি নিতে এসেই মিস করে বসলেন মেসি; সেটাও আবার পানেনকা পেনাল্টির চেষ্টা করতে গিয়ে! তবে আর্জেন্টিনার তো রয়েছেই একজন এমি মার্টিনেজ। ইকুয়েডরের প্রথম দুটো পেনাল্টিই ঠিকভাবে আঁচ করলেন, প্রতিহতও করলেন। আনহেল মেনা ও অ্যালান মিন্ডার পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে নিলেন; এরপর আর কোনো দলই মিস না করায় টাইব্রকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিতে চলে যায় আর্জেন্টিনা।