• বাংলাদেশ-পাকিস্তান
  • " />

     

    অনবদ্য মুশফিক, সাকিব-মিরাজের স্পিন জাদুতে ঐতিহাসিক জয়

    অনবদ্য মুশফিক, সাকিব-মিরাজের স্পিন জাদুতে ঐতিহাসিক জয়    

    ১ম টেস্ট, রাওয়ালপিন্ডি (টস- বাংলাদেশ/ফিল্ডিং)
    পাকিস্তান - ৪৪৮/৬ ডি. ও ১৪৬ 
    বাংলাদেশ - ৫৬৫ ও ৩০/০

    ফলাফল : বাংলাদেশ ১০ উইকেটে জয়ী 


    অবশেষে জয়। বহুল প্রতীক্ষিত জয়। পাকিস্তান এই ফরম্যাটে অজেয়ই ছিল বাংলাদেশের কাছে। জয়ের সবচেয়ে কাছে যেবার যেতে পেরেছিল বাংলাদেশ সেটা ২০০৩ সালের মুলতানে। ১ উইকেটের হারের পর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভেজা চোখে রুমাল ধরে মাঠ ছাড়ার ছবিটা প্রায়শই দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই ছবিটা বদলানোর উপলক্ষ এনেছেন সাকিব-মুশফিক-মিরাজরা। যে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জেতার কোনো ইতিহাসই ছিল না বাংলাদেশের, সেই পাকিস্তানকেই শান্তরা হারালেন তাদের মাটিতেই। 

    এর আগে ১৩ ম্যাচ খেলে একটাও জেতেনি বাংলাদেশ। প্রেস কনফারেনে শান্ত বলেছিলেন, 'এটা কেবলই একটা রেকর্ড, তবে রেকর্ড বদলানো যায়।' শান্ত জানতেন কাজটা সহজ হবে না। তবে রেকর্ডটা ঠিকই বদলে ফেলেছেন তারা। 

    রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের নিষ্পত্তি ড্র'তেই হতে যাচ্ছে; চতুর্থদিনের খেলা শেষে এমনটাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু পঞ্চমদিনের প্রথম সেশনে ম্যাচটা হেলে পড়ল বাংলাদেশের দিকে।  স্পিনার-পেসারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লাঞ্চের আগেই পাঁচ উইকেট নেই। শেষটা করলেন দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী মিরাজ মিলে। পাকিস্তান গুটিয়ে গেল ১৪৬ রানে। লিড নিল ২৯ রানের। পিন্ডিতে সেই লক্ষ্য হেসেখেলেই টপকে গেল বাংলাদেশ। লিখল ইতিহাস। টেস্টে এতদিনের অধরা জয়ের কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটা লিখলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম।

    এই ম্যাচের মোড়টা কোথায় ঘুরল বাংলাদেশের জন্য? মুশফিকের অনবদ্য একটা ইনিংস, প্রায় ডাবল সেঞ্চুরি। ১৯১ রানে ফিরলেন আগের সিরিজটা মিস করা এই ডানহাতি ব্যাটার। ইনিংসে যে কন্ট্রোল-কমান্ড ছিল; সেটাই হয়ে রইল তার ব্যাটসম্যানশিপের আরও একটা উদাহরণ। দুই বছর পর টেস্ট একাদশে ফেরা সাদমানও কাজে লাগালেন সুযোগটা ৯৩ রানের ইনিংসে। মুমিনুল-লিটন-মিরাজদের ফিফটিতে লিড নিয়েই ১ম ইনিংস শেষ করেছিল বাংলাদেশ। 

    আজ হাসান মাহমুদের হাত ধরে শুরু। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শান মাসুদকে রিভিউ নিয়ে ফেরায় বাংলাদেশ। বাবর আজম জীবন পেয়েছিলেন রানের খাতা খোলার আগেই। ২২ রানের মাথায় বোল্ড হন নাহিদ রানার বলে। এরপর সাকিবের জোড়া আঘাত। দারুণ এক টার্নিং ডেলিভারিতে সৌদ শাকিলকে স্টাম্পড, এক ওভার পরেই আবদুল্লাহ শফিককে টেনে আনেন বাইরে। তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন সাদমান ইসলামের হাতে। রিজওয়ান বাধা হিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, মিরাজের বাইরের বল টেনে আনতে গিয়ে বোল্ড হলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে বাংলাদেশ।