দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে প্রোটিয়ারা
২য় টেস্ট, চট্টগ্রাম
দক্ষিণ আফ্রিকা - ৫৭২/৬ ডি. (ডি জর্জি ১৭৭৭, স্টাবস ১০৬, মাল্ডার ১০৫*, তাইজুল ৫/১৯৮, রানা ১/৮৩)
বাংলাদেশ - ৩৮/৪ (জয় ১০, রাবাদা ২/৮, মহারাজ ১/৪)
২য় দিন, স্টাম্পস
বাংলাদেশ ৫৩৭ রানে পিছিয়ে
প্রথম দিনের ধারাবিকতায় দ্বিতীয় দিন শেষে টেস্টে আধিপত্য বিস্তার করে বসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি জর্জির ম্যারাথন সেঞ্চুরির পর অলরাউন্ডার মাল্ডার পেয়েছেন সেঞ্চুরি। দিনের শেষটাও বাংলাদেশ করেছে ব্যাটিং ধস দিয়ে।
আগের দিনে সেঞ্চুরি পাওয়া ডি জর্জি এদিনও অটল। তবে লাঞ্চের আগ দিক দিয়ে হুট করেই তাদের ব্যাটিংয়ে নামে ছোট ধস। আর সেই ধসের কারিগর তাইজুল। দারুণ এক বলে ৫৯ রানে থাকা বেডিংহামের স্টাম্প উপড়ে ফেললেন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ভেরেইনাকে ফেললেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে, তবে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ডি জর্জির উইকেটেই হয়তো স্বস্তি পেয়েছেন বেশি। ১৭৭ রানে থাকা ডি জর্জিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাইজুল নিজে পেয়েছিলেন ফাইফার, সেই সাথে পরের সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাবু করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
তবে দারুণ এক সেঞ্চুরি করে সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন মাল্ডার। রিকেলটনকে রানা দ্রুতই ফেরালেও মুথুসামিকে সঙ্গী করে রানের পাহাড় গড়েন মাল্ডার। বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলে মান্ডার শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন ১৫০ বলে ১০৫* রান করে। অন্যদিকে দ্রুত রান তোলা মুথুসামি মাঠ ছেড়েছিলেন ৬৮* রানে।
ব্যাটিংয়ে নেমেই প্রথম ওভারেই ফিরলেন সাদমান। রাবাদার জন্য কোনো জবাবই জানা নেই তার। রাবাদার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরতে জাকিরও সময় নিলেন না। প্যাটারসনের আঘাতে জয় ১০ রানে ফিরলে দেখা দেয় ঘোর শঙ্কা। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে হাসানকে নামিয়েও স্বস্তি মেলেনি, ফিরেছেন তিনিও।