• আফগানিস্তান-বাংলাদেশ, ২০২৪
  • " />

     

    গুরবাজ, ওমরযাইয়ের রেকর্ড রান তাড়ায় ম্লান মাহমুদউল্লাহর প্রচেষ্টা

    গুরবাজ, ওমরযাইয়ের রেকর্ড রান তাড়ায় ম্লান মাহমুদউল্লাহর প্রচেষ্টা    

    ৩য় ওয়ানডে, শারজাহ (টস - বাংলাদেশ/ব্যাটিং)
    বাংলাদেশ - ২৪৪/৮,৫০ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, সৌম্য ২৪, ওমরযাই ৪/৩৭, রশিদ ১/৪০, নবী ১/৩৭)
    আফগানিস্তান - ২৪৬/৫, ৪৮.২ ওভার (গুরবাজ ১০১, ওমরযাই ৭০*, নবী ৩৪*, রানা ২/৪০, মোস্তাফিজ ২/৫০, মিরাজ ১/৫৬)
    ফলাফল - আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী


     

    খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাহমুদউল্লাহ আরব আমিরাতের দুঃসহ গরমে আজ দেখালেন তিনি ফুরিয়ে যাননি; তবে সেই প্রচেষ্টা বিফলে গেল রহমানউল্লাহ গুরবাজের সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে দেওয়া সেঞ্চুরিতে, আজমতউল্লাহ ওমরযাইয়ের জবাব দেওয়া অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে আফগানরা তাই সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।

    সিরিজ জয়ের জন্য বিশেষ কিছু করতে হতই তাদের, গুরবাজ যেখানে হবার কথা তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। তবে রান তাড়ায় গুরবাজের রেকর্ড নিয়ে কথা হয়েছে আজকে তিনি ব্যাট হাতে নামার আগেও। মাত্র ১৭ ছুঁইছুঁই গড় যে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে! যথারীতি আজও ব্যর্থ হতে বসেছিলেন; তবে জাকের আলী অনিক স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, ক্যাচও ছেড়েছেন। সেটার সুযোগ নিয়েই গুরবাজ যখন ফিফটি পেয়ে যান তখন আর তাকে থামানোই সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চাশ পেরুলেই ওয়ানডেতে বড় ইনিংস খেলেন, ব্যত্যয় ঘটেনি আজও। ঠিকই সেঞ্চুরি পেয়েছেন, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তার তৃতীয়, ওয়ানডেতেও তৃতীয়।

    অথচ আজ নায়ক হতে পারতেন নাহিদ রানা। শুরুতেই পেসে আফগানদের কাঁপিয়ে দিয়ে ফিরিয়েছিলেন সেদিকুল্লাহকে। উইকেটে এসে খাবি খেতে থাকা রহমত, শহীদিরাও পরে সুবিধা করতে না পারলে তাদের ফিরিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর। তবে অন্যদিকে সুযোগ পেয়ে গুরবাজ চলে এসেছেন ছন্দে। উইকেটে এসে টানা দুটো ডাকের কোনো ছাপ পড়তে দিলেন না ওমরযাইও। দুজনে মিলে নাসুমকে রয়েসয়ে খেলে, যেন গণিতের সমীকরণ মিলিয়ে ব্যাটিং করে গেলেন। ওমরযাইয়ের স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ে গুরবাজ তাই এক হাত নিলেন শরিফুল, মিরাজদের। অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়ে যাওয়ার পরপরই অবশ্য ডিপ স্কয়্যার লেগে সরাসরি ক্যাচ তুলে দিয়ে ১০১ রানে ফিরেছিলেন ওই মিরাজের শিকার হয়েই।

    কিছুক্ষণ পরেই রানার আগুনে এক ওভারে উইকেটে আসা গুলবদিন শুরুতেই ফিরলে বিপদে পড়তে পারত আফগানরা। নবীও রানার বলে সুবিধা করতে পারছিলেন না আসার পরপরই। কিন্তু অভিজ্ঞ নবী ওই সময়টুকু মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ওমরযাইকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। পরে মোস্তাফিজকে সুযোগ বুঝে অফ স্টাম্পের ওপর জায়গা করে নিয়ে বাউন্ডারি মেরে কাজটাও সহজ করে ফেলেন। নবীর ২৭ বলে ৩৪* রানের সময়োপযোগী ইনিংসে ওমরযাই ৭৭ বলে ৭০* রান করে জয় সূচক বাউন্ডারিটা এনে দেন তাই।