• ইউরো
  • " />

     

    ওয়েলসের স্বপ্নযাত্রা চলছেই

    ওয়েলসের স্বপ্নযাত্রা চলছেই    

    নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে এসেই সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়ল ওয়েলস। প্রথমে পিছিয়ে পড়েও বেলজিয়ামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর স্বপ্নযাত্রা টিকিয়ে রাখল গ্যারেথ বেল-রামসের দল। 

    কাগজে-কলমে ম্যাচের ফেভারিট ছিল বেলজিয়ামই। বিশেষ করে আগের ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স বেলজিয়ামকে স্বপ্ন দেখচ্ছিল আরও বড় কিছুর। তবে ২০১৪ বিশ্বকাপের মতো এবারের ইউরোতেও বেলজিয়ামের শেষটা হল কোয়ার্টার ফাইনালেই; হতাশাতেই।

    ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ফেভারিটের মতোই করেছিল বেলজিয়াম। প্রথম দশ মিনিটে আসলে দুই গোলে পিছিয়ে যেত পারত ওয়েলস। তবে ওয়েলস ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় আর বেলজিয়াম খেলোয়াড়দের মিসের মহড়ায় খেলা গোলশূন্যই থাকে। ১৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নাইগোলানের দূরপাল্লার এক শট ওয়েলসের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে ম্যাচে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। 

    এরপরই আসলে ম্যাচে শুরু হয় ওয়েলস আধিপত্য। রামসে-অ্যালেন-টেইলররা প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন মিডফিল্ডে। ঘুরে দাঁড়ানোর দায়িত্বে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক অ্যাশলি উইলিয়ামস। ৩১ মিনিটে রামসের কর্ণার থেকে দারুণ এক হেডে গোল করে ওয়েলসকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন এই ডিফেন্ডার।

    দ্বিতীয়ার্ধের দশ মিনিটে অ্যারন রামসের বাড়ানো বল বক্সের ভেতর নিজের দখলে নিয়ে অনেকটা ইয়োহান ক্রুইফের মতো টার্ন নিয়ে তিন ডিফেন্ডারকে একসাথে বোকা বানিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় গোল করে ওয়েলসকে ম্যাচে এগিয়ে দেন রবসন কানু। এরপর ম্যাচে ফিরতে বেলজিয়াম আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও লাভ হয়নি তেমন। লুকাকু-ফেলাইনি ফাঁকা গোলমুখে বেশকিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। ওয়েলস ডিফেন্ডাদের কাছে হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনাদেরও অনেকটা অসহায়ই মনে হয়েছে এদিন। উল্টো ৮৬ মিনিটে গোল করে বেলজিয়ামের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন মাত্র ছয় মিনিট আগে কানুর বদলী হিসেবে মাঠে নামা স্যাম ভোকস।

    সেমিফাইনালে পর্তুগালের মুখোমুখি হবে ওয়েলস।  ফাইনালের আগে অবশ্য ছোট একটি দুঃসংবাদ আছে ওয়েলসের জন্য। এই ম্যাচেও হলুদ কার্ড দেখায় পর্তুগালের বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচে ওয়েলস দলে পাচ্ছে না তাদের অন্যতম ভরসা অ্যারন রামসেকে। তবে সেই দুশ্চিন্তা আপাতত সরিয়ে রেখে উৎসবেই মজে থাকতে চাইবেন ওয়েলস সমর্থকেরা! ১৯৯৬ ইউরোর পর প্রথম ব্রিটিশ দল হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার রেকর্ডও যে গড়ে ফেলছে তারা।