• ইউরো
  • " />

     

    কিক অফের আগে: ফ্রান্সের ভয় লম্বা থ্রো!

    কিক অফের আগে: ফ্রান্সের ভয় লম্বা থ্রো!    

    আবারও শেষ সময়ের জাদু? 
    এবারের ইউরোতে শেষ মুহূর্তে গোল করাটা যেন অভ্যাসই বানিয়ে ফেলেছে ফ্রান্স। রোমানিয়ার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে বা আলবেনিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচেও শেষ সময়ের গোলেই রক্ষা পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ইউরোতে ফ্রান্সের সবচেয়ে দ্রুততম গোলটিও এসেছে ৫৬ মিনিটে, প্রথমার্ধে কোন গোলই করতে পারেনি। আজও কি অন্তিম সময়েই বাজিমাত করবে ফ্রান্স? 

     

    সমস্যার নাম লম্বা থ্রো ?
    বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের বেলাল বা স্টোক সিটির ররি ডেলাপের মতো আইসল্যান্ডেও আছেন একজন থ্রো বিশেষজ্ঞ। অ্যারন গুনারসনের দুইটি থ্রোই ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আইসল্যান্ডের দুই গোলের উৎস। এখন পর্যন্ত ইউরোতে বক্সের ভেতরে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে আইসল্যান্ড। সেসবের পেছনে মূল অবদান গানারসনের থ্রো। দেশম তো বলেছেনই, "ওরা ৩৫-৪০ গজ দূর থেকে থ্রো করে ফ্রি কিকের মতোই বিপদ তৈরি করতে পারে। আমাদের লম্বা থ্রো যথাসম্ভব ঠেকাতে হবে। শারীরিকভাবে ওরা অনেক শক্তিশালী। তবে আমি তো আমাদের খেলোয়াড়দের রাতারাতি লম্বা বানিয়ে দিতে পারব না। আমরা শুধু নিশ্চিত করতে পারি, বাতাসে আমরা এতটুকু জায়গা ছেড়ে দেব না। " 

     


    ফ্রান্সের "ভয়"
    তিন লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার একটা দেশ, ধারে ভারে কোনোভাবেই আইসল্যান্ডের সঙ্গে ফ্রান্সের তুলনা হয় না। কিন্তু আইসল্যান্ডকে নিয়ে এখন সমীহই ঝরছে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমের কণ্ঠে, "আইসল্যাণ্ড এমনি এমনি এতদূর আসেনি। নিজেদের যোগ্যতাবলেই তারা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। যোগ্য দল হিসেবেই ইংল্যান্ডের সঙ্গে জিতেছে।"

     

    প্রেরণার অভাব নেই! 
    আইসল্যান্ডের জন্য আজকের ম্যাচটা শুধুই পাওয়ার, হারানোর কিছুই নেই। তাদের কোচ লাস লাজারব্যাক সেটিই মনে করিয়ে দিলেন, "আমাদের শুধু বিশ্বাস করতে হবে আমরা জিততে পারি। তাহলেই আমরা ওদের যথেষ্ট ভোগাতে পারব। আর সেমিফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে দলের জন্য আলাদা করে কোনো অনুপ্রেরণারও অভাব নেই।" আরেক কোচ হেলগ্রিমসনও বললেন, "আমরা আইসল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছি। এখন আমাদের হারানোর কিছুই নেই।"