• ইউরো
  • " />

     

    দুর্দান্ত ফ্রান্সে শেষ আইসল্যান্ড-রূপকথা

    দুর্দান্ত ফ্রান্সে শেষ আইসল্যান্ড-রূপকথা    


    অবশেষে আইসল্যান্ডিক রূপকথার ইতি টেনে দিল ফ্রান্স। স্বাগতিক ও অনেকেরই  টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দেশমের শিষ্যরা ম্যাচ জিততে থাকলেও খেলা দিয়ে মন ভরাতে পারছিলো না। সমর্থকদের এই হা-হুতাশের দরুণ নিজেদের প্রমাণ করতেই যেন স্তাদ দে ফ্রান্সে নেমেছিলো ফরাসিরা। পগবাদের জাত চেনানোর রাতে কিছুটা নিষ্ঠুরভাবেই শেষ হল আইসল্যান্ডের স্বপ্নের ইউরো ২০১৬।

    কোয়ার্টারে আসার পথের পাঁচ ম্যাচে কোনোটিতেই প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পাওয়া ফ্রান্স সেই গেরো খোলে ১২ মিনিটেই। মাঝামঠ থেকে মাতুইদির চমৎকার লব পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের হাফ ভলিতে আইসল্যান্ড কিপারের পায়ের মাঝে দিয়ে বল জালে পাঠান আর্সেনাল স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু। এর মিনিট সাতেক পরেই গ্রিয়েজম্যানের কর্নারে অসাধারণ লাফে হেড দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পল পগবা। গানারসনের থ্রো থেকে পাওয়া এক হাফ চান্স ছাড়া প্রথমার্ধে কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও আইসল্যান্ড সমর্থকরা দলের হয়ে গলা ফাটানো বন্ধ করেননি। এমনকি ৪৩ ও ৪৫ মিনিটে পায়েট ও গ্রিয়েজম্যানের গোলও বিচলিত করতে পারেনি তাদের।

    দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে সিগার্ডসনের নিঁখুত ক্রসে পা ছুঁইয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রতিটি ম্যাচেই গোল করার রেকর্ড অক্ষুণ্ন রাখেন সিগথরসন। তবে মিনিট তিনেক পরেই প্রায় মধ্যমাঠ থেকে ডিবক্সে পায়েটের অসাধারণ এক ফ্রিকিকে হেড দিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করে চার গোলের ব্যবধানটা ফিরিয়ে আনেন সেই জিরু। কিন্তু আইসল্যান্ড দমে যায়নি। পাঁচ মিনিটখানেক পরেই হুগো লরিসের অসাধারণ সেভের জন্য ব্যবধানটা কমানো হয়নি ইঙ্গাসনের। ম্যাচ শেষ হবার মিনিট ছয়েক আগে লেফটব্যাক স্কুলেসনের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ম্যাচে আইসল্যান্ডের ও টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বিয়ারনেসন। রেফারির শেষ বাঁশির পর কাপ্তান গানারসনের নেতৃত্বে টুর্নামেন্টে শেষবারের মত রক্তগরম করা ‘ওয়ারক্রাই’ সেলিব্রেশনটি করে বিদায় নেয় আইসল্যান্ড। শেষ চারে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ এখন জার্মানি।