• ইউরো
  • " />

     

    এই ইউরোই পাল্টে দেবে আইসল্যান্ডকে!

    এই ইউরোই পাল্টে দেবে আইসল্যান্ডকে!    

    স্বপ্নের মতো একটা মাস গেল। ইউরো শুরুর আগে কে ভেবেছিল, ৩ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার দেশটি কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে? আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাও এখনো ঠিক বুঝতে পারেননি তারা আসলে কী করে ফেলেছেন। দেশটির কোচ হেইমির হালগ্রিমসন বিশ্বাস করেন, এই ইউরোই তাদের সবার জীবন পাল্টে দেবে। 


    পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করে শুরু। এর পর হাঙ্গেরির সঙ্গে ড্রয়ের পর অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। সেখানেই নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় কীর্তির জন্ম দিয়েছে, হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। আইসল্যান্ডকে নিয়ে এখন বিশ্ব ফুটবলেই তোলপাড়। হালগ্রিমসন জানাচ্ছেন, খেলোয়াড়েরা এখনো পুরো ব্যাপারটাই উপলব্ধি করতে পারেননি, "আমার মনে হয় আর কয়েক দিনের মধ্যে ওরা যখন পত্রিকা বা টিভি দেখবে তখন ইনেক কিছু বুঝতে পারবে। টুর্নামেন্টের সময় প্রচারমাধ্যম থেকে সবাই দুরে থাকে, টিভিও কেউ দেখে না। বিশেষ করে আইসল্যান্ডিক টিভি। আমার মনে হয় আর কয়েক দিনের মধ্যেই সবাই ব্যাপারটার গুরুত্ব বুঝতে পারবে।"


    এই দলের সিগুর্ডসন, গুনারসন, গুডিয়েনসন ছাড়া সেই অর্থে বড় কোনো নাম নেই। হালগ্রিমসনের আশা, ইউরোপের শীর্ষ লিগে এখন অনেকেই সুযোগ পাবেন, "আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্ট ওদের জীবন পাল্টে দেবে। আইসল্যান্ডাররা এই অর্জন নিয়ে গর্বিত। ফ্রান্সে যারা এসেছে তারা তো আছেই, দেশের সবাইও সেই কথাই বলছে। দেশ হিসেবে আমরা আগের চেয়েও অনেক বেশি একতাবদ্ধ, অনেক কাছাকাছি এসেছি।" সমর্থকদের আলাদা করে ধন্যবাদও জানালেন, "শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, সমর্থক হিসেবেও আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে পারি। ফ্রান্সের কাছে হারের পরও যেভাবে সবাই সমর্থন দিয়েছে সেটা দুর্দান্ত। '


    ফ্রান্সের কাছে ৫-২ গোলের হারে শেষটা মনমতো না হওয়ার জন্যও রসিকতা করে ক্ষমা চাইলেন হালগ্রিমসন, "আশা করি এই হারের জন্য মানুষ আমাদের ক্ষমা করে দেবে, রেকিয়াভিকে পৌছে আমাদের দিকে কেউ ডিম ছুড়বে না। '