• ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান
  • " />

     

    এবার পেনাল্টি নেইমারই নিলেন

    এবার পেনাল্টি নেইমারই নিলেন    


     

    ম্যাচের তখন ৪০ মিনিট। বোর্দোর ওতাভিও বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালেন। পুরো স্টেডিয়াম তখন দুজন মানুষের দিকে তাকিয়ে। কে নেবেন পেনাল্টি? নেইমার না কাভানি? সবাইকে অবাক করে পেনাল্টি নিতে এগিয়ে এলেন নেইমার! গোল করতেও ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান। পেনাল্টি ও ফ্রি কিক থেকে গোল করেই দলকে বড় জয় এনে দিয়েছেন নেইমার। নেইমার-কাভানি-এমবাপ্পে জুটির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বোর্দোকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। পরে ম্যাচ শেষে পিএসজির মুনিয়ের জানিয়েছেন, পেনাল্টির দায়িত্ত্ব এখন থেকে নেইমার-কাভানি ভাগাভাগি করে নেবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন কোচ উনাই এমেরি। পরের পেনাল্টিটা তাই কাভানিই নেবেন।

     

    তাদের পেনাল্টি-ফ্রি কিক নেওয়া নিয়ে গত কয়েক দিনে কম আলোচনা হয়নি। গতকাল হয়তো ‘শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষর করেই মাঠে নেমেছিলেন নেইমার-কাভানি। গোলবন্যার শুরুটা করেছিলেন নেইমারই। ৬ মিনিটের মাথায় বক্সের বেশ কিছুটা বাইরে ফ্রি কিক পায় পিএসজি। আগের ম্যাচের মতো ফ্রি কিক নেওয়া নিয়ে মনোমালিন্য হয়নি কাভানি-নেইমারের মাঝে। চোখ ধাঁধানো এক কিকে বল জালে জড়ান নেইমার। ১২ মিনিটে নেইমারের পাসেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাভানি। বক্সের ভেতরে নেইমারের বাড়ানো বল জালে জড়াতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাকে।

     

     

    ২১ মিনিটে ইয়ুরির পাসে ম্যাচের তৃতীয় গোল করেন মুনিয়ের। পিএসজির মুহুর্মুহু আক্রমণে বোর্দো নিজেদের একেবারেই গুছিয়ে নিতে পারছিল না। অবশেষে ৩১ মিনিটে একটি গোল শোধ করেন ইউনুস শানখারে। কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে বোর্দো শিবিরে।

     

    ৪০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগে দলের পঞ্চম গোল করেন জুলিয়ান ড্রাক্সলার। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে এই ড্রাক্সলারই অসাধারণ এক পাস দেন ডি বক্সের ভেতর। পোস্টের সামনে থাকা এমবাপ্পে সুযোগটা মিস করেননি। ৬৪ মিনিটে ডি মারিয়া, ৭৯ মিনিটে নেইমার সহজ সুযোগ মিস না করলে আরও বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত পিএসজি। খেলার একদম অন্তিম মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান বোর্দোর ম্যালকম।

     

    এই জয়ে ৮ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল পিএসজি। গতকাল পয়েন্ট হারিয়ে ৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন মোনাকো।