• লা লিগা
  • " />

     

    শূন্য ন্যু ক্যাম্প ভরিয়ে দিল বার্সা

    শূন্য ন্যু ক্যাম্প ভরিয়ে দিল বার্সা    

    ম্যাচটা বাতিলই হতে বসেছিল। শেষ পর্যন্ত খেলা হল ঠিকই, কিন্তু ফাঁকা গ্যালারিতে। স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার কাতালুনিয়ায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়াতেই শূন্য গ্যালারিতে হল বার্সেলোনা-লাস পালমাসের ম্যাচ। দর্শকের দেখা না মিললেও, দেখা মিলেছে পুরনো বার্সারই। লাস পালমাসকে হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। দুই গোল করেছেন লিওনেল মেসি, অন্যটি সার্জিও বুস্কেটসের। 



    প্রথমার্ধটা অবশ্য একেবারেই ভালো যায়নি বার্সার। তিন গোলের জয়টা তাই লাস পালমাসের প্রতিরোধের কথাও বলছে না। বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বার্সার চেয়ে বরং বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়েই ছিল লাস পালমাস। গোলের সেরা সুযোগটাও পেয়েছিল তারা। কিন্তু বারপোস্টের বাধা পায় লাস পালমাসের স্বপ্ন। সাজানো এক আক্রমণ থেকে জোনাথন ক্যালেরির শট বারপোস্টে লেগে ফেরত না আসলে লিডটা নিতে পারত তারাই। 

    অন্যদিকে লুইস সুয়ারেজ, মেসি, ডেনিস সুয়ারেজ দিয়ে গড়া বার্সার আক্রমণভাগ সেই তুলনায় ছিল খানিকটা নিষ্প্রাণ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এর্নেস্তো ভালভার্দে তাই মাঝমাঠে পলিনহোকে তুলে নামিয়ে দেন ইভান রাকিতিচকে। তবে বার্সার খেলা প্রাণ ফিরে পায় অন্য আরেক মিডফিল্ডারের গোলে। যার নাম খুব একটা দেখা যায় না বার্সার স্কোরশিটে। ৪৯ মিনিটে নেয়া মেসির কর্নার থেকে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সার্জিও বুস্কেটস। মেসির অ্যাসিস্টে এতোদিন গোল করেছেন বার্সার প্রায় সব খেলোয়াড়ই। বুস্কেটসের জন্য এবারই প্রথম। ন্যু ক্যাম্পে আর্জেন্টাইনের ১০০ তম অ্যাসিস্টও পুরণ হয়েছে বুস্কেটসের সৌজন্যেই!



    শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে আর দেখা যায়নি প্রথমার্ধের লাস পালমাসকে। প্রথম গোলের ঠিক পরপরই আবারও লিড নিতে পারত বার্সা। কিন্তু মেসির নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক লিওনার্দো চিচিজোলা। এরপর মেসি, সুয়ারেজও নষ্ট করেছেন সহজ গোলের সুযোগ। ওয়ান অন ওয়ানে গোলরক্ষককে পেয়েও গোল করতে পারেননি সুয়ারেজ। চিচিজোলার পায়ে লেগে ডিবক্সের ভেতর পড়ে গিয়ে পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন উরুগুইয়ান। রেফারির সাড়া তো মেলেইনি, উলটো হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে সুয়ারেজকে। এর খানিকক্ষণ পর সুয়ারেজের ক্রস থেকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থেকেও হেড করে শট অন টার্গেটে রাখতে পারেননি মেসি। 

    সহজ সুযোগ নষ্ট করা মেসি অবশেষে ৭০ মিনিটে এসে গোলের দেখা পান। এর সাত মিনিট পর করেন দ্বিতীয় গোল। দুই গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন দুই সুয়ারেজ। প্রথমটা ডেনিস, পরেরটা লুইস। দুবারই থ্রু পাসে গোলরক্ষকের সাথে ওয়ান অন ওয়ান পরিস্থিতি থেকে জালে বল জড়ান মেসি। প্রথমবার অবশ্য চিচিজোলাকে কাটিয়েই বোকা বানান, পরে ডাইরেক্ট শট থেকে গোল করেন। 

    তিন গোলের পরও অবশ্য গোলের চেষ্টা চালিয়েছিল লাস পালমাস। কিন্তু ফল পায়নি। শেষদিকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে সুয়ারেজও নাম লেখাতে  পারতেন। তাতে বার্সেলোনা জিততে পারত আরও বড় ব্যবধানে। তবে অনেক নাটকের পরও, ফাঁকা গ্যালারিতে তিন গোলের জয় নিয়েও বোধ হয় খুব বেশি আফসোস থাকার কথা নয় ভালভার্দের।