• লা লিগা
  • " />

     

    নেইমারকে রিয়ালে স্বাগত জানাচ্ছেন রামোস

    নেইমারকে রিয়ালে স্বাগত জানাচ্ছেন রামোস    

    বার্সেলোনায় থাকার সময় লিওনেল মেসি এবং লুইস সুয়ারেজের সাথে গড়ে তুলেছিলেন দুর্দান্ত এক ত্রয়ী। মাস তিনেক আগে সবাইকে অবাক করে প্রায় ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে পাড়ি জমান নেইমার। স্পেনে থাকতে ‘এল ক্লাসিকো-তে নেইমার একাধিকবার মুখোমুখি হয়েছিলেন সার্জিও রামোসের। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক রামোস বলেছেন, নেইমারকে রিয়ালে স্বাগতই জানাবেন তিনি।

     

    ফ্রান্সের লিগে প্রতিযোগীতার অভাবে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছেন নেইমার- কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে এমনটাই। সেই সাথে পিএসজি কোচ উনাই এমেরির সাথে মনোমালিন্যের গুঞ্জনও ডালপালা ছড়াচ্ছে বেশ। ওদিকে বার্সেলোনার সংবাদপত্র ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’-র মতে, রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন নেইমারের বাবা। রামোস অবশ্য এতকিছু ভাবছেন না, ‘রিয়ালে আমরা সবসময়ই সেরা খেলোয়াড়দের চাই, এবং নেইমারের সেরাদের একজন। সে হয়তো ভেবেছিল বার্সা থেকে রিয়ালে সরাসরি পাড়ি জমানোর চেয়ে আগে পিএসজিতে যাওয়াটাই সহজতর। আমি এমনটাই আশা করি। ফুটবলে কখন কী ঘটে যায়, তা কেউই বলতে পারেনা। সে যদি এই ডিসেম্বরেও আসতে চায়, তাহলে রিয়ালে তাকে স্বাগতই জানাবো আমি। তার সাথে আমার সম্পর্কটাও বেশ ভাল’।

     

     

    স্প্যানিশ রেডিও চ্যানেল ‘কাদেনা সার’-এর অনুষ্ঠান ‘এল লার্গেরো’-তে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রামোস। আলভারো মোরাতা, পেপে, হামেস রদ্রিগেজদের বিক্রি করে দেওয়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছে রিয়াল- ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এমন দাবির জোর বিরোধিতা করেছেন রিয়ালের অধিনায়ক, ‘আমি তার (রোনালদোর) সাথে এ বিষয়ে একমত নই। আগস্টে যখন আমরা সুপারকাপ দুটি (স্প্যানিশ এবং ইউরোপিয়ান) জিতি, তখন রিয়াল অদম্য ছিল। আর এখন লোকে অনেক কথার সুযোগ খুঁজছে। আমার মনে হয়, আমাদের ফর্মহীনতার মূল কারণ ইনজুরি। স্কোয়াডে পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু তা ভালো বা খারাপের জন্য নয়। সত্যি বলতে, এসব ব্যাপার নিয়ে আমি আগামী মে-তে (মৌসুম শেষে) কথা বলবো’।

     

    চলতি লিগ মৌসুমে মাত্র এক গোল করেছেন রোনালদো। দীর্ঘদিনের সতীর্থকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কথা চিন্তাও করছেন না রামোস, ‘আসলে সে আগে এত গোল করেছে যে, এখন কয়েক ম্যাচ গোল না করলে লোকে তার মুন্ডুপাত করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। সে প্রতিবছরই ব্যালন ডি’অর, গোল্ডেন বুটের জন্য লড়াই করে; যেখানে গোলের ওপর আলাদা করে আলোকপাত করা হয়। এজন্যই সে প্রতি ম্যাচেই গোল করতে চায় আর গোল না পেলে হতাশা প্রকাশ করে। হয়তোবা তাঁর এমন করাটা সমীচীন নয়। কিন্তু এজন্য তাকে দোষারোপ করাটা একেবারেই অনুচিত'।