• লা লিগা
  • " />

     

    আরও পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ

    আরও পিছিয়ে পড়ল রিয়াল মাদ্রিদ    

    ম্যাচের মাত্র আট মিনিটের খেলা বাকি তখন। প্রথমার্ধে ড্যানিয়েল ওয়াসের গোলে সেল্টা ভিগো লিড নিলেও গ্যারেথ বেলের জোড়া গোলে এগিয়ে তখন রিয়াল মাদ্রিদই। এমন সময় প্রতি আক্রমণে বল পেলেন ইয়াগো আসপাস। স্প্যানিশ এই ফরওয়ার্ডের পাস থেকে ডানপ্রান্তে বল পেলেন ওয়াস। ডেনিশ এই উইঙ্গারের ক্রস থেকে হেড করে কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করলেন ম্যাক্সি গোমেজ। সমতায় ফিরল সেল্টা। ম্যাচের বাকিটা সময় শত চেষ্টা করেও জয়সূচক গোলের দেখা পাওয়া হল না রিয়ালের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ক্লাসিকো হার দিয়ে গত বছর শেষ করেছিল জিনেদিন জিদানের দল। নতুন বছরের প্রথম লিগ ম্যাচেও পয়েন্ট খোয়াল রিয়াল। সেল্টার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে 'লস ব্লাঙ্কোস'রা।

     

     

     

    রিয়ালের বিপক্ষে শেষদিকে গোল করে সমতায় ফিরলেও জয় নিয়েই ফিরতে পারত সেল্টা। ম্যাচের ৭০ মিনিটে আসপাসকে ডিবক্সে ফেলে দিয়ে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন নাভাস। ১২ গজ থেকে কোস্টারিকান এই গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি আসপাস। ম্যাচে গোলের প্রথম সুযোগটাও পেয়েছিলেন এই আসপাসই। ১২ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে হুগো মায়োর ক্রসে তার ভলি প্রতিহত হয় বারপোস্টে। ভাগ্যকে অবশ্য বেশিক্ষণ দুষতে হয়নি সেল্টার। ৩৩ মিনিটে প্রতি আক্রমণে দারুণ এক চিপে দলকে ঠিকই লিড এনে দেন ওয়াস। বালাইডোস স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় হাজার পঁচিশেক সমর্থকের বুনো উল্লাস অবশ্য ছিল একেবারেই ক্ষণস্থায়ী। মিনিটখানেক পরই ৩৪ মিনিটে প্রতি আক্রমণেই টনি ক্রুসের পাস থেকে রিয়ালকে সমতায় ফেরান বেল। সমতায় ফেরার কিছুক্ষণ পরেই রিয়ালকে লিড এনে দেন এই ওয়েলশ তারকাই। ৩৮ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ইস্কোর ক্রসে বাঁ-পায়ের আলতো টোকায় সেল্টা গোলরক্ষক রুবেন ব্লাঙ্কোকে পরাস্ত করেন বেল। ওয়েলস এই উইঙ্গারের গোলকে ঘিরে আছে অফসাইডের বিতর্ক। শেষমেশ অবশ্য অফসাইডের হলুদ পতাকা ওঠাননি লাইন্সম্যান। 

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি মিসের পর সমতাসূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে সেল্টা। ম্যাচের শেষদিকে সেই বহুল প্রতীক্ষিত গোলটা পেয়েও যায় তারা। ওয়াসের ক্রস থেকে দলকে সমতায় ফেরান ম্যাক্সি গোমেজ। ১৭-১৮ মৌসুমে বার্সা এবং রিয়াল- উভয় দলের বিপক্ষেই গোল করা একমাত্র ফুটবলার এখন এই আর্জেন্টাইনই। শেষদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লুকাস ভাজকেজ প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালকে। ২০০৮ সালের পর এবারই প্রথম লিগে টানা ৪ 'অ্যাওয়ে' ম্যাচে জয়হীন থাকল 'লস ব্লাঙ্কোস'রা।

     

    চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৬ পয়েন্টে পিছিয়ে টেবিলের চার নম্বরে থাকল জিদানের দল। ১৭ ম্যাচে রিয়ালের সংগ্রহ ৩২ পয়েন্ট। ১৮ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে বার্সা। বার্সার সমানসংখ্যক ম্যাচে যথাক্রমে ৩৯ এবং ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই এবং তিন নম্বর স্থানে আছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং ভ্যালেন্সিয়া।