• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    পগবা-শতে ইউনাইটেডের শুভসূচনা

    পগবা-শতে ইউনাইটেডের শুভসূচনা    

     

    ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সুখী নন তিনি, হোসে মরিনহর সঙ্গে সম্পর্কটাও নাকি ভালো নয়। ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনটাও রটেছিল। পল পগবা যদি অসুখীও থাকেন, লেস্টার সিটির সঙ্গে ম্যাচের পর সেই মনের গুমোট হাওয়া অনেকটুকুই কেটে যাওয়ার কথা। অধিনায়ক হয়ে নেমেছেন, তাঁর গোলেই এগিয়ে গেছে দল। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জিতেছে ইউনাইটেদ, প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরু করেছে জয় দিয়েই।

    নিয়তির পরিহাসই বলা উচিত, শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করা গোল যাঁর পা থেকে এসেছে, ইউনাইটেডে তাঁর সামর্থ্য নিয়েই বার বার উঠেছে প্রশ্ন। লুক শ অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এসেও নিয়মিত হতে পারেননি, তবে নতুন মৌসুমের শুরুটা হয়েছে দারুণ। রক্ষণে এরিক বাই-ভিক্টর লিন্ডেলফ ছিলেন অটল, আর ডেভিড ডি গিয়া বরাবরই নির্ভরাত প্রতীক।

    প্রথম গোলের জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র ৮০ সেকেন্ড। অ্যালেক্সিস সানচেজের শটটা হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়েই ভুলটা করে ফেলেছেন লেস্টার ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল আমারটে। পেনালতির বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি, ঠাণ্ডা মাথায় সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন পগবা। ওই গোলটার পর রক্ষণেও দারুণ করছিলেন, মনে হচ্ছিল অধিনায়কের মান রাখবেন।

    এরপর খানিকটা এলোমেলো হয়ে পড়লেন পগবা, খোলসের ভেতর ঢুকে পড়ল ইউনাইটেডও। লেস্টার সিটি চেপে ধরল স্বাগতিকদের, ম্যাডিসনের শটটা ডি গিয়া দারুণভাবে ঠেকিয়ে না দিলে লেস্টার সমতাই ফেরাতে পারত। মধ্যমাঠে ফ্রেড বার বার বল হারাচ্ছিলেন, তরুণ পেরেইরা অবশ্য ভালোই করেছেন। মারতা-রাশফোর্ড-সানচেজ পাসও দিতে পারছিলেন না ঠিকমতো।

    তবে দ্বিতীয়ার্ধে পগবা আবার ফিরে পেলেন নিজেকে, ইউনাইটেডও গুছিয়ে খেলতে শুরু করল। ৬৫ মিনিটে মাতা গোলটা পেয়েই গিয়েছিলেন। কিন্তু সানচেজের পাস থেকে তাঁর শট লেস্টারের একজনের গায়ে লেগে চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এরপর নামলেন লুকাকু, গোলও পেয়ে গিয়েছিলেন। এবারও উৎস সানচেজ, কিন্তু তাঁর পাস থেকে সামনে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি লুকাকু। দুর্দান্ত ওই সেভের জন্য স্মাইকেলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।

    শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় গোলের দেখা ইউনাইটেড পেয়ে যায় ৮৩ মিনিটে। মাতার পাস থেকে শ বল পেয়ে ঢুকে যান বক্সে। বাঁ পায়ের দারুণ একটা শটে পেয়ে যান লিগে নিজের প্রথম গোল। এরপর অতিরিক্ত সময়ে সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ভার্ডি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য যখন পেলেন, দেরি হয়ে গেছে অনেক। লেস্টার আর ফিরতে পারেনি ম্যাচে।

    তবে এই জয়ের পরও মরিনহোর কপালের ভাঁজ কমার কথা নয়। ইউনাইটেড জিতলেও অনেক ফাঁক ফোকঁর দেখা গেছে ভালোমতোই। মরিনহো জানেন, সেসব ঠিক করতে না পারলে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে লম্বা মৌসুম।