• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরেকটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল ইউনাইটেড

    ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরেকটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল ইউনাইটেড    

    পথের শেষটা কি দেখতে পাচ্ছিলেন হোসে মরিনহো? প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে পিছিয়ে দল, তাও আবার ১৯ নম্বরের দল নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে। ১৯৯৮ সালের পর ২-০ গোলে বিরতির সময় এগিয়ে থেকে কখনো হারেনি নিউক্যাসল। এরপর যা হলো, সেটার চেয়ে বড় লাইফলাইন হোসে মরিনহো আর পাবেন বলে মনে হয় না। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি অবিশ্বাস্য গল্প লিখে ম্যানচেস্টার ইউনাউটেড ম্যাচটা জিতেছিল ৩-২ গোলে।

    চার দিক থেকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরছিল চাপ। প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়, ওয়েস্ট হামের কাছে আগের ম্যাচে হার। নিউক্যাসলের কাছে হারলেই চাকুরি হারাতে হতে পারে, এমন একটা আশঙ্কাও ছিল। ১০ মিনিটের মধ্যেই সেই মেঘ একেবারে সিঁদুরে নয়, ঘরের দুয়ারে। সাত মিনিটে রক্ষণের ভুলের সুবিধা নিয়ে কেনেডি দিলেন। তিন মিনিটের মধ্যে আরও একবার হতভম্ব ইউনাইটেড রক্ষণ, এবার এরিক বাইয়ের ভুলে এগিয়ে দিলেন মুতো। ২০ মিনিটের মধ্যে সম্ভবত ক্যারিয়ারের দ্রুততম ট্যাকটিক্যাল পরিবর্তন করলেন মরিনহো, বাইকে তুলে নামালেন মাতাকে। খানিক পরেই গোলের সুযোগ পেলেন রাশফোর্ড, কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে হেডটা রাখতে পারলেন না পোস্টে। প্রথমার্ধে ইউনাইটেড সেভাবে আর গোলের সুযোগ পেল না। বরং ডি গিয়া আর একবার বাধা হয়ে না দাঁড়ালে নিউক্যাসল আরও গোল দিতে পারত।

    কে জানত, সবকিছু রেখে দিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধের জন্য। ফেলাইনি নামলেন ম্যাকটোমিনের জায়গায়, ধার বাড়ল আক্রমণের। মাতিচ পেলেন গোলের সুবর্ণ সুযোগ, কিন্তু কয়েক গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মারলেন। রাশফোর্ড মিস করলেন আরেকটি সহজ সুযোগ, নামলেন সানচেজ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তখনও কেউ কেউ মরিনহোকে সমর্থন দিচ্ছেন, ‘উডওয়ার্ড আউট, হোসে ইন’। এড উডওয়ার্ড আর গ্লেজারদের সমর্থকেরা অনেকে চাইছেন না, এমন স্লোগান ভাসছে হাওয়ায়।

    ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু ৭০ মিনিটে। হুয়ান মাতা বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে গোল করলেন। ইউনাইটেডে তাঁর চেয়ে ফ্রিকিকে বেশি গোল পেয়েছেন শুধু বেকহাম, রোনালদো, রুনি আর গিগস। মিনিটখানেকের মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধের ম্যাচসেরা পল পগবার সঙ্গে দুর্দান্ত এক ওয়ান টুর পর মার্শিয়ালের শট। গোল! মার্শিয়াল প্রিমিয়ার লিগে গোল পেয়েছেন, আর ইউনাইটেড জয় পায়নি এমম হয়নি কখনো। সেই গোল থেকে প্রেরণা নিয়েই তেঁড়েফুঁড়ে নামল ইউনাইটেড।

    ওদিকে সময় গড়িয়ে যাচ্ছে, শেষের বাঁশি কাছে আসছে। এবারও সানচেজ-পগবা-লুকাকুর বিল্ড আপের পর ডান দিক থেকে ইয়াংয়ের ক্রস, হেডে বল জালে জড়িয়ে দিলেন সানচেজ। মরিনহো বাঁচলেন হাঁফ ছেড়ে, কানের পাশ দিয়ে গুলি গেল একটুর জন্য। ইউনাইটেড আপাতত শীর্ষ দশে, কিন্তু মরিনহো গুলিটা শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারবেন তো?