• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইউনাইটেডকে হারিয়ে ম্যানচেস্টারে সিটির নীল-উদযাপন

    ইউনাইটেডকে হারিয়ে ম্যানচেস্টারে সিটির নীল-উদযাপন    

    ডার্বির আগে পয়েন্ট তালিকায় দুই দলের ব্যবধান ছিল ৯। মাঠের খেলায় যে ব্যবধান তার চেয়ে কম নয়, ডার্বি সাক্ষ্য দিল তারই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থানটা আরও পাকাপোক্ত করল ম্যানচেস্টার সিটি। আর হেরে গিয়ে শিরোপা সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে গেল ইউনাইটেডের।

    ম্যাচ শুরুর আগেই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় ইউনাইটেড। গত মৌসুমে ইতিহাদ-জয়ের নায়ক পল পগবা চোটের কারণে নেই একাদশে, তাঁকে ছাড়াই দল সাজাতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। মাঠের খেলায়ও পগবার অভাবটা বোঝা গেছে পরিষ্কার, মধ্যমাঠে হেরেরা-ফেলাইনিদের ধুঁকতে হয়েছে সৃষ্টিশীলতার অভাবে। পুরো ম্যাচে পেনাল্টি থেকে পাওয়া অ্যান্থনি মার্শিয়ালের গোল ছাড়া ইউনাইটেড সেভাবে আক্রমণই করতে পারেনি, গোলমুখে নিতে পারেনি একটি শটও। এডারসনকে বড় কোনো পরীক্ষায়ও ফেলতে পারেনি।

    গোলটা অবশ্য শুরুতেই পেয়ে যায় সিটি। ১৫ মিনিটে বাঁ দিক আসা উড়ে আসা বলটা লাইনের বাইরের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই মাইনাস করেন বার্নাডো সিলভা। ইউনাইটেডের গোলমুখ খুলে যায় তাতেই, ফাঁকায় বল পেয়ে যান ডেভিড সিলভা। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি। অবশ্য সিটি যেভাবে শুরু করেছিল, সেই ছন্দটা সেভাবে ধরে রাখতে পারেনি। ভুল পাসে অনেক আক্রমণই দানা বাঁধতে পারেনি, ইউনাইটেডও আক্রমণের চেয়ে রক্ষণেই মন দিয়েছে বেশি। সিটিও অবশ্য সেভাবে পরিষ্কার সুযোগ আর পায়নি প্রথমার্ধে, শেষ দিকে আগুয়েরোর শটা চলে গেছে পোস্ট ঘেঁষে।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য গোল পেয়ে যায় সিটি। এবার মাহরেজের পাস থেকে বক্সের ডান দিকে বল পেয়েছিলেন আগুয়েরো। ডান পায়ে গোলার মতো করা শটটা চলে যায় জালে, যদিও ডেভিড ডি গিয়া সেই গোলের জন্য নিজের ঘাড়েই দোষ নেবেন। দুরুহ কোণ থেকে কাছের পস্টে ডি গিয়ার হাত গলে কীভাবে বল চলে গেল, সেটাই রহস্য!

    ডি গিয়ার ভুলটা দেখেই বোধ হয় ভুল করে বসলেন এডারসনও। বদলি হিসেবে নামলেন রোমেলু লুকাকু, একটা বল ধরতে গিয়ে ফেলে দিলেন লুকাকুকে। সঙ্গে সঙ্গেই রেফারির পেনাল্টির বাঁশি, আরও একবার গোল পেলেন মার্শিয়াল। টানা পাঁচটি লিগ ম্যাচে গোল করে ঢুকে গেলেন অভিজাত একটা ক্লাবে। ইউনাইটেডের হয়ে এই কীর্তি যে ছয়জনের আছে নামগুলো দেখুন- এরিক ক্যান্টোনা, ডুইট ইয়র্ক, রুদ ফন নিস্টলরয়, ওয়েইন রুনি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, রবিন ফন পার্সি।

    গোল শোধের পর কিছু সময়ের জন্য ইউনাইটেড একটু জেগে উঠেছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেভাবে আর গোছাতে পারেনি নিজেদের, এর মধ্যে ডি গিয়াকে বার দুয়েক দূর থেকে পরীক্ষায় ফেলেছেন ফার্নান্দিনহো, বদলি লেরয় সানেওসুযোগ পেয়ে বাইরে মেরেছেন। শেষ পর্যন্ত ৮৬ মিনিটে তৃতীয় গোলটা পেয়ে যায় সিটি। বার্নার্দো সিলভার অসাধারণ ক্রসটা বুঝতে পারেনি কোনো ইউনাইটেড ডিফেন্ডার, ফাঁকায় পেয়ে যান ইলকে গুন্ডোগান। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি।

    এই জয়ে ১২ ম্যাচে শীর্ষে থাকা সিটির পয়েন্ট হলো ৩২। ২০ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেড আছে আটেই।