• " />

     

    নিষিদ্ধ হলেন আফ্রিদির ভাতিজা

    নিষিদ্ধ হলেন আফ্রিদির ভাতিজা    

     

    সম্পর্কে তিনি পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির ভাতিজা। তবে পাকিস্তান নয়, ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়তে ইরফান আফ্রিদি বেছে নিয়েছেন উগান্ডাকেই। এবার উগান্ডার হয়ে খেলার সময় সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ইরফান।

    আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের ডিভিশন দুইয়ে ওঠার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের মুখোমুখি হয়েছিল উগান্ডা। সেই ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ২৫ রানে এক উইকেট নিয়েছিলেন এই ডানহাতি অফস্পিনার, ম্যাচটি জেতে উগান্ডা। ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচের পরেই তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

    পরের ম্যাচ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ইরফান করতে পেরেছেন মাত্র এক ওভার। ইরফানের প্রথম ওভারের পরেই উগান্ডা অধিনায়ক রজার মুকাসাকে দুই আম্পায়ার বলেন, ইরফার যদি আর বল করেন তাহলে তাঁরা নো বল দিবেন। তাই বাধ্য হয়েই আর ইরফানকে বোলিংয়ে আনেননি মুকাসা। সেই ম্যাচে সহজেই জেতে যুক্তরাষ্ট্র।  

    টুর্নামেন্টে উগান্ডার তৃতীয় ম্যাচের আগেই ঘোষণা আসে, অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন ইরফান। আইসিসি জানিয়েছেন, নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বাঁকে ইরফানের হাত, ‘আইসিসির ৩.৬.২ ধারা অনুযায়ী অবৈধ অ্যাকশনের অভিযোগে ইরফানকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইসিসির হিউম্যান মোটিভেশন বিশেষজ্ঞ মার্ক কিং ও আন্দ্রে কুটি ইরফানের বোলিংয়ের ভিডিও পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের তদন্তে বলা হয়েছে, বোলিংয়ের সময় নির্ধারিত ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বাঁকে ইরফানের হাত।’

    নিষিদ্ধ হওয়ায় কেনিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ইরফানকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ইরফানের জায়গায় দলে ঢুকেছেন ফ্রাংক সুবুগা। আইসিসির কাছে আবার অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েই বোলিংয়ে ফিরতে হবে ইরফানকে।