• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    'হয়তো উইকেটের কারণে ওদের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ফেলেছি'

    'হয়তো উইকেটের কারণে ওদের স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ফেলেছি'    

    প্রস্তুতি ম্যাচটা ছিল সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনের টেস্টের আগে নিজেদের ঝালাই করে নেওয়ার উপলক্ষ। ফাঁকতালে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট দলে জায়গা করে নিলেন সাদমান ইসলামও। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের যে উইকেটে খেলা হলো, তাতে কতটা প্রস্তুতি হলো সেই প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে।

    এমএ আজিজের উইকেট দেখেই বোঝা গেছে, খুব বেশি পাওয়া যায়নি প্রস্তুত করতে। বল বেশির ভাগ সময় নিচু হয়ে এসেছে, গ্যাব্রিয়েল-রোচদের বলে কিপার ছিলেন ১৫ গজেরও কাছে। সব উইকেটই নিজেরাই বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন বিসিবি একাদশের খেলোয়াড়েরা। মিঠুনও স্বীকার করলেন, উইকেটের কারণে তারা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দে ছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলার তো অবশ্যই ভালো। ওদের পেস বোলিং অ্যাটাক নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। ওরা অবশ্যই ওয়ার্ল্ডক্লাস বোলার। হয়তো উইকেটের কারণে আমরা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে ফেলেছি। উইকেটের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বোলারদের বেশি হেল্প না থাকলে বোলারদের কিছু করারও থাকে না। ’

    জিম্বাবুয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং খেলার অভিজ্ঞতা হলো মিঠুনের। দুইটির পার্থক্য জানতে চাওয়া হলে মিঠুনের কন্ঠে আগের কথারই প্রতিধ্বনি, ‘আমি তো এত কিছু আসলে বুঝি না, আমি আগেই বলেছি, পুরোটা নির্ভর করে উইকেটের ওপর। অর্ডিনারি বোলারও স্পিনিং উইকেটে ভালো করে ফেলতে পারে। একটা ওয়ার্ল্ডক্লাস বোলারও ফ্ল্যাট উইকেটে কিছু নাও করতে পারে। নির্ভর করবে কেমন উইকেট হবে, তার ওপর নির্ভর করবে কেমন ইফেক্টিভ হবে। ’

    মিরপুরে প্রথম ইনিংসে রান না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ফিফটি। মিঠুন অবশ্য সেটা ভুলে যাচ্ছেন, ‘আলাদা কিছুই মনে হয়নি। আমি ফার্স্ট ইনিংসে যেভাবে নেমেছিলাম, সেকেন্ড ইনিংসেও সেভাবেই নেমেছি। সবসময় তো সফল হতে পারব না। একটা ভালো ডেলিভারি, একটা আমার ভুলের কারণে আউট হতেই পারি। কিন্তু ওটা নিয়ে যদি আমি সেকেন্ড ইনিংসেও নামতাম, তাহলে আউট হওয়ার চান্সটা বেশি থাকত। চেষ্টা করছি প্রথম ইনিংসের আউট মাথা থেকে সরিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস নতুন ভাবে শুরু করতে। ’

    তবে টেস্টে সুযোগ পেলে সব ভুলে শুন্য থেকেই শুরু করতে চান, ‘ওদের বোলারদের ফেস করেছি, অবশ্যই ওদের সম্পর্কে একটা আইডিয়া হয়েছে। এতটুকুই আমাকে পরের ম্যাচে হেল্প করবে। তাছাড়া প্রথম বল থেকেই আমাকে শুন্য থেকে শুরু করতে হবে। প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলে একটা সুবিধা হয়েছে, ওদের বোলার গুলোকে ফেস করতে পারলাম।’