গ্যাব্রিয়েলদের সামলাতে ঐচ্ছিক দিনেও মুশফিকের ঘন্টাদুয়েক অনুশীলন
টানা দুই দিন অনুশীলনের পর আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ ছুটি মিলেছিল ক্রিকেটারদের। তবে ঐচ্ছিক অনুশীলনে চারজন আসছেন, আগের দিনই বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার তা জানিয়ে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে মুশফিকুর রহিম থাকবেন, সেই অনুমান মাঠে গিয়ে দেখা গেল অভ্রান্ত। ঐচ্ছিক দিনেও প্রায় ঘন্টাদুয়েক ব্যাটিং করলেন, পরে করলেন ফিল্ডিং। মুশফিকের সঙ্গে আজ অনুশীলন করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, অফ স্পিনার নাঈম হাসান ও মাত্রই দলে ডাক পাওয়া ওপেনার সাদমান ইসলাম।
বাংলাদেশ দলের যারা অল্পবিস্তর খোঁজখবরও রাখেন, তারাও জানেন মুশফিক অনুশীলনে বাকিদের চেয়ে অনেকটা বেশি সময় নেন। নিজেও অনেক বার বলেছেন, কম্বা সময় ধরে নেট ব্যাটিং আর কিপিং তাঁর প্রস্তুতি নেওয়ার একটা বড় অনুষঙ্গ। বার বার অনুশীলন করে নিজেকে আরও শাণিত করে রাখেন। আগের টেস্টেই ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন, চট্টগ্রামে একটা দিন ছুটির সুযোগ কাজে লাগাতেই পারতেন। কিন্তু মুশফিক সবার আগে নেমে পড়লেন মাঠে। শুরুতে নাঈম, অনূর্ধ্ব ১৯ দলের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন আর স্থানীয় অফ স্পিনারদের বলে নেটে ব্যাটিং করেছেন। এর মধ্যে নেটে স্থানীয় কিছু পেসার আর দলের থ্রোয়ারের বলেও করেছেন ব্যাটিং। এরকম চলল প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি। এরপর খানিকটা বিরতি শেষে আবার শুরু করলেন ব্যাটিং। এবার তা মাঠের অন্য প্রান্তে বোলিং মেশিনে। উইকেটে ম্যাট ফেলে বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন বেশ কিছুক্ষণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্যাব্রিয়েল, রোচরা উচ্চতার সুবিধা কাজে লাগাতে চাইবেন, সেটা অনুমিতই। মুশফিক তাই বার বার বাউন্সারে ডাক করলেন, কখনো আরেকটু নিচু হয়ে আসা বলে টানা পুল করে গেলেন।
তবে সেখানেই শেষ নয়। এরপর যখন মনে হচ্ছিল, মুশফিকের অনুশীলন শেষ, তখন গ্লাভস পরে চলে গেলেন মাঠের মাঝখানে। এবার চলল বেশ কিছুক্ষণ কিপিং। এর মধ্যেই অবশ্য মাঠে এসে গেছেন সাকিব, সাদমানসহ কোচ স্টিভ রোডস। সাকিবও নাঈমদের বলে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাটিং করলেন, আর পাশের নেটে সাদমানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করলেন রোডস। তাঁদের অনুশীলন অবশ্য ঘণ্টাখানেকের বেশি আর স্থায়ী হলো না। সাকিব বেশ কিছু স্লগও করলেন, বোঝাই যাচ্ছিল ধীরে ধীরে নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য পুরোপুরি ফিরে যাচ্ছেন। যদিও প্রথম টেস্টের আগে কতটুকু প্রস্তুতি হলো, সেই খচখচানি তাঁর থাকতেই পারে।
এরই মধ্যে সাগরিকার পেছনে ঢলে পড়েছে সূর্য। শেষ বিকেলে সাঙ্গ হলো চার জনের ঐচ্ছিক অনুশীলন।