• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    ব্রাথওয়েট বলছেন 'গতানুগতিক', সাকিব আশা করছেন টার্ন

    ব্রাথওয়েট বলছেন 'গতানুগতিক', সাকিব আশা করছেন টার্ন    


    পাঁচ দিনে রান হয়েছে ১৫৩৩, উইকেট পড়েছে ২৪টি। এই বছর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার সেই টেস্ট ম্যাড়ম্যাড়ে বললেও কম বলা হবে। বোলারদেরও অবশ্য খুব দোষ দেওয়া যায় না, সেই উইকেটে যে পেসার বা স্পিনার কারও জন্যই যে কিচ্ছু ছিল না! এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে এই বছর আবার চট্টগ্রামে ফিরছে টেস্ট। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট কেমন হবে, সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন।

    শ্রীলঙ্কার সেই টেস্টের পর নিষ্প্রাণ উইকেটের জন্য একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল চট্টগ্রাম। এবার আবার অমন কিছু হলে সেই শাস্তি বাড়তেও পারে। তবে ক্রিকেটীয় কারণেই তেমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা হয়তো কম। শ্রীলঙ্কার সেই দলে হেরাথ, পেরেরারা ছিলেন, ব্যাটসম্যানরাও স্পিনে ছিলেন বেশি দক্ষ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্পিনারদের মধ্যে বিশুই যা একটু হুমকি, মূল আঘাতটা আসতে পারে পেসারদের দিক থেকেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরাও স্পিনে অতটা স্বচ্ছন্দ হবেন না সম্ভবত, যদিও ভারতে লম্বা একটা সময় কাটিয়ে আসার পর আত্মবিশ্বাসটা তাদের বেশি থাকতেই পারে।

    তারপরও চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে রহস্য খানিকটা তো আছেই। সাকিব চট্টগ্রামে এসেই অনেক সময় নিয়ে উইকেট দেখেছেন, আজ সকালে তা দেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েট ও কোচ নিক পোথাসও। ব্রাথওয়েট উইকেট দেখে বাংলাদেশের গতানুগতিক পিচই মনে করছেন, ‘আমি পিচ দেখেছি। যেমন আশা করেছিলাম সেরকমই, একটু শুষ্কও মনে হলো। হয়তো প্রথম ঘন্টায় একটু বেশি মুভমেন্ট থাকবে। আমার মনে হয় একদম গতানুগতিক বাংলাদেশী উইকেটই হতে যাচ্ছে।’

    তবে গতানুগতিক উইকেটেও তো স্পিন কমবেশি হতে পারে। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরের সেই র‍্যাংক টার্নারও হতে পারে, আবার চট্টগ্রামের সেই মন্থর, শট খেলার জন্য কঠিন; নিষ্প্রাণ উইকেটও হতে পারে। সাকিব অবশ্য মনে করছেন না, সেরকম ব্যাটিং-স্বর্গ হবে, ‘আমার মনে হয় কিউরেটররা ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছেন। উইকেট নিয়ে আসলে খুব বেশি কথা বলার নেই। দুই দলের সমান সুযোগ থাকবে। আমার কাছে দেখে  (এখন পর্যন্ত) মনে হচ্ছে উইকেটে বল ঘুরতে পারে। আসলে দেখে খুব একটা অনুমান করা যায় না। যতদিন যায় অনেক সময় আস্তে আস্তে আরও ভালো হতে থাকে উইকেট। আশা করি তেমন কিছু হবে না। ভালো একটা টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য যেমন উইকেট দরকার তেমন উইকেটই হবে।’