• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    অভিষেকেই নাঈমের ইতিহাস

    অভিষেকেই নাঈমের ইতিহাস    

    এই বছরের শুরুতেই চট্টগ্রামে ডাক পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অভিষেক হয়নি তাঁর।  এর মধ্যে জাতীয় লিগে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আবার ডাক পেলেন জাতীয় দলে। এবার আর বসে থাকতে হলো না। অভিষেক ইনিংসে ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন। আর বল হাতে তো বিশ্বরেকর্ডই করে দিলেন নাঈম হাসান।

    বল করার জন্য অবশ্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। মোস্তাফিজ, তাইজুল, মিরাজ ও সাকিবের বল যখন নাঈম বল হাতে পেয়েছিলেন, ২৫ ওভার হয়ে গেছে ম্যাচের। নিজের তৃতীয় ওভারেই পেলেন উইকেট, বিপজ্জনক হতে থাকা রস্টন চেজকে ফিরিয়ে দিলেন। এক ওভার পর আবারও আঘাত নাঈমের, এবার সুনীল আমব্রিসকে এলবিডব্লু করলেন। এরপর হেটমেয়ার-ডাওরিচ মিলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কিছু সময়ের জন্য নিয়ে নিলেন।

    চ বিরতির পর আবার বল পেলেন নাঈম। বিশু-ডাওরিচের জুটিটা ভাঙলেন নাঈম, বিশুকে করলেন এলবিডব্লু। ওই ওভারেই আবার আবার রোচকে একইভাবে ফেললেন ফাঁদে, রিভিউ নিয়েও লাভ হলো না রোচের। পরে ওয়ারিকানকে ফিরিয়ে পেলেন নিজের পঞ্চম উইকেট।

    টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম বয়সে অভিষেকে ৫ উইকেট নেননি। এর আগে রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্সের, সেটি তিনি নিয়েছিলেন ১৮ বছর ১৯৩ দিনে।  নাঈম সেটি পেলেন ১৭ বছর ৩৫৫ দিনে। আর নাঈমের চেয়ে কম বয়সে টেস্টে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে শুধু পাকিস্তানের নাসিম উল গনি ও মোহাম্মদ আমিরের।

    সব মিলে নাঈম বাংলাদেশের অষ্টম বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে অন্তত পাঁচ উইকেট নিলেন। অভিষেক টেস্টে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের পর সেই কীর্তি একে একে করেছেন প্রয়াত মানজারুল ইসলাম রানা, মাহমুদউল্লাহ, ইলিয়াস সানি, সোহাগ গাজী, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে নাঈমের চেয়ে কম বয়সে সেটি কেউ করেননি।