• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগ নেই অধিনায়কের

    দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং নিয়ে উদ্বেগ নেই অধিনায়কের    

    ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে মুমিনুল হক বললেন, এই উইকেটে টসে জেতাটা বড় একটা প্রভাব ফেলেছে। সেই কথার সঙ্গে দ্বিমত কথার খুব উপায় নেই। সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব আল হাসান টসের কথা বলতেই হেসে ফেললেন, ‘থাক ভাই, টসে না জিতলে কী হতো সেটা আর না বলি’। তবে টসে জিতেছে বলেই বাংলাদেশকে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হয়নি। ম্যাচের তৃতীয় আর নিজেদের ইনিংসে অমন বিপর্যয় নিয়েও তাই খুব একটা ভাবনা নেই সাকিবের।

    প্রথম দিনেও চট্টগ্রামের উইকেট খেলার জন্য এমন কঠিন ছিল না। স্পিনারদের জন্য খুব বেশি কিছু ছিল না সেখানে, বরং শ্যানন গ্যাব্রিয়েলই ছিলেন মূল হন্তারক। কিন্তু দ্বিতীয় দিন থেকেই উইন্ডিজ স্পিনাররাও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করলেন। বাংলাদেশের ব্যাটিং হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে, এক মাহমুদউল্লাহই শুধু যা একটু স্বচ্ছন্দ ছিলেন। তবে এমন ব্যাটিংয়ে সাকিবের কেন উদ্বেগ নেই, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই ব্যাখ্যা দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ব্যাটিং নিয়ে খুব একটা চিন্তা নেই। এর একটা কারণ, প্রথম ইনিংসের রানটা আমাদের একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। আর এই ধরনের উইকেটে একটা দল যে একটা ইনিংসে ব্যর্থ হতে পারে সেটা আমরা ধরেই নিয়েছি। আমরা জানি যে, এমন হওয়া সম্ভব। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যেন প্রথম ইনিংসে কখনও ব্যর্থ না হই।’

    সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বিপর্যয়ের উদাহরণও দিলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যেটা হয়েছে, প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পর আর দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে যখন আমরা বড় স্কোর করতে পেরেছিলাম তখন আর দ্বিতীয় ইনিংসে সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা চাপে ছিলাম তবে প্রথম ইনিংসের লিডটা কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য অনেক বড় ভিত তৈরি করে দেয়। এ কারণে আমরা জানি যে, একটা ইনিংস সব খারাপ হয়ে যেতে পারে। তার জন্য প্রথম ইনিংসে লিডটা সব সময় আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

    তবে তারপরও কিছু জায়গায় একটু আক্ষেপ আছে, সেটি স্বীকার করলেন সাকিব, ‘তারপরও আমি মনে করি, আমাদের আরেকটু ভালো ব্যাটিং করা দরকার ছিল। কাল যদি ৫ উইকেটের জায়গা ৩ উইকেট থাকত, আজকে হয়তো আমরা ৩০/৪০ রান বেশি করতে পারতাম। আমরা যদি ওদের ক্যাচগুলো ধরতে পারতাম, ওরা হয়তো ১২০/১৫০ রানে অলআউট হয়ে যেতে পারত। সব থেকে বড় কথা এই ধরনের কন্ডিশনে, এই ধরনের উইকেটে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাপারগুলো আসলে এই রকমই হয়।’

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেও দ্বিতীয় ইনিংসে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত মাহমুদউলাহর সেঞ্চুরিতে কেটেছে বিপদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে মিরপুরে টস ভাগ্যটা খুব করেই দরকার সাকিবের।