• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    'রান কম দেওয়াটাই লক্ষ্য, উইকেট কপালের ব্যাপার'

    'রান কম দেওয়াটাই লক্ষ্য, উইকেট কপালের ব্যাপার'    

    তিন দিনেই টেস্ট হয়ে যাওয়ায় তিন দিন ছুটি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ দল। ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক অনুশীলন নেই, তবে তাইজুল ইসলাম আজ নিজেকে ঝালিয়ে নিতে এসেছিলেন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। পরের টেস্টেই হয়ে যেতে পারে দারুণ একটা মাইলফলক, সবচেয়ে কম টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে ১০০ উইকেট ছোঁয়ার হাতছানি তাঁর সামনে। তবে এত সব অর্জনের সামনে দাঁড়িয়েও নিস্পৃহ তাইজুল। উইকেট পাওয়া বা রেকর্ড, এসব ছেড়ে দিচ্ছেন ভাগ্যের হাতেই।

    অনেকটা অলক্ষ্যেই বাংলাদেশের দলের বোলিংয়ের মূল ভরসা হয়ে উঠছেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সিরিজে ১৮ উইকেটের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও চট্টগ্রামে পেয়েছেন ৭ উইকেট। আর ৬ উইকেট পেলেই ১০০ উইকেট হয়ে যাবে তাইজুলের। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত শুধু সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ রফিকের সেই অর্জন আছে। রফিকের লেগেছিল ৩৩ টেস্ট, আর সাকিব ১০০ উইকেট পেয়েছিলেন ২৮ টেস্টে। তাইজুলের ২২ টেস্টে ৯৪ উইকেট, পরের টেস্টে ১০০ হয়ে যাওয়ার পক্ষেই বাজি ধরার লোক পাওয়া যাবে বেশি। তবে রেকর্ড নিয়ে দৃশ্যত তেমন কোনো উচ্ছ্বাসই নেই তাইজুলের, ‘এখন আমার মাথায় এত কিছু নেই। আমি ভালো বোলিং করাটাই চেষ্টা করে যাবো। প্রথম থেকে যেই চিন্তা সেটাই অ্যাপ্লাই করবো। উইকেট যদি কপালে থাকে, আসলে ভালো বল করলে উইকেট পাওয়ার চান্সটা বেশি থাকে। আমি ভালো বল করার চেষ্টাটাই করবো। ’

    পরশু ম্যাচ শেষেই সাকিব বলছিলেন, বাংলাদেশের স্পিনারদের উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রান আটকানোর কাজটাও শিখতে হবে। তাইজুল বলছেন, তিনি দ্বিতীয় কাজটাই করার চেষ্টা করেন আগে, ‘আমি এটাই চেয়েছিলাম (রান কম দেওয়ার)। উইকেট না পেলেও রান কম দিতে যেন অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট বোলারদের উইকেট পেতে সুবিধা হবে। ক্রিকেট খেলাটাই এমন, একজন রান দিবে, একজন উইকেট পাবে, একজন একটু রান কম দিবে। আমি চারজন বা দুইজনের আক্রমণ হোক না কেন, আমি সবসময় রান চেক দিয়ে বল করার চেষ্টা করি।উইকেটের বিষয়টা তো পরে, ওটা কপালের ব্যাপার। ’

    সাকিব পরশু ‘গেম সেন্স’ বাড়ানোর কথা বলছিলেন স্পিনারদের। তাইজুল বলছেন, এটা একদিনে হবে না, ‘টেস্ট ক্রিকেট আসলে অনেক কঠিন। হয়তো বাইরে থেকে দেখতে এক রকম লাগে, মাঠের মধ্যে কিন্তু সিচুয়েশনটা আলাদা হয়ে যায়। যখন আমরা মাঠে নামি তখন আমাদের অনেক কিছুই পর্যবেক্ষণ করতে হয়। তো সময়েরও ব্যাপার আছে। আপনি দেখবেন যে মিরাজ মাত্র দুই বছর হয়েছে, আমার হয়তো চার পাঁচ বছর হয়েছে, নাঈমও নতুন এসেছে। সব মিলিয়ে যে খুব খারাপ হয়েছে তা বলব না। তবে আমাদের আরও ডেভলপ করতে হবে। আমরা যখন আরও সময় পাবো, নাঈম মিরাজরা, তখন আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারব। ’

    নিজের অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত সময়ে তাইজুলের উইকেট (৯৪) সাকিবের (৭৯) চেয়েও বেশি। তাইজুল অবশ্য সিনিয়র সতীর্থকে দেখছেন অন্য উচ্চতায়, ‘আসলে আমাদের এশিয়ায় বলেন, বা বাইরে বলেন, সাকিব ভাইয়ের সাথে কারো তুলনা করা যায় না। তারপরও সাকিব ভাই থাকার পরও যখন আমি উইকেট পাই, তখন অনেক ভালো লাগে। মনে হয় একদিন সাকিব ভাই এর মত হয়তো হতে পারবো না, অন্তত কাছাকাছি যেতে পারবো। এমন মনে হয়, কিন্তু সাকিব ভাই সাকিব ভাই-ই। ’