চার নম্বরের গুরুত্বটা বুঝছেন মিঠুন
অভিষেকটাই রেকর্ড গড়া ছিল মোহাম্মদ মিঠুনের। বাংলাদেশীদের মাঝে টেস্ট অভিষেকের আগে সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার তিনি। ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসটা ছিল দুঃস্বপ্ন- শুন্য রানে আউট হয়েছিলেন অফস্টাম্পের বাইরের বলে বাজে শট খেলে।
দ্বিতীয় ইনিংসে পুষিয়ে নিলেন সেটা, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটিতে অবদান রাখলেন ৬৭ রান করে। টেস্ট ব্যাটিং অর্ডারে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরেই চার ইনিংস খেলেছেন মিঠুন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে চারে খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম, দ্বিতীয় টেস্টে সাকিব আল হাসান। কিপিং গ্লাভস ফিরে পেয়ে মুশফিক নেমে গেছেন ছয়ে, চারে মিঠুনকে রেখে সাকিবও খেলছেন পাঁচে। জায়গাটার গুরুত্ব বুঝছেন মিঠুন, সেটা পাকা করতে পারফরম্যান্সটাও করতে চান সেভাবেই।
“খুব ভালো একটা জায়গায় আমার সুযোগ হচ্ছে। এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় পাওয়া, যে আমি একটা ভালো জায়গায় ব্যাটিং করছি”, ঐচ্ছিক অনুশীলনের দিনে বলেছেন মিঠুন, “দেখেন জায়গাটা পাকা করতে হলে অবশ্যই পারফরম্যান্স দিয়ে পাকা করতে হবে। আমি চেষ্টা করছি দিন দিন উন্নতি করার। নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করার। তারপরও সব ইনিংসে তো সফল হওয়া সম্ভব না। অনেক সময় কন্ডিশনের জন্য, অনেক সময় নিজে ভুল করি। এর মধ্যে থেকে (ব্যর্থতা) কাটিয়ে ওঠার করার চেষ্টা করছি।”
এ পজিশনটা নিজের প্রিয় বলেও জানাচ্ছেন মিঠুন, “অবশ্যই আপনি যখন নিজের ফেভারিট পজিশনে ব্যাট করবেন তখন অবশ্যই বাড়তি একটা সুবিধা থাকে। অনেক দিন যেই জায়গায় ব্যাট করে অভ্যস্থ, সেই জায়গায় ব্যাট করলে জিনিসটা নতুন মনে হয় না। অন্য জায়গায় ব্যাট করলে জিনিসটা অপরিচিত ঠেকবে। এখন ওইরকম না। আমি যেখানে ব্যাট করে অভ্যস্থ, সে জাগায় ব্যাটিং পাচ্ছি। নতুন কিছু মনে হয় না। আমি আগেও খেলেছি, আর জায়গাটা আমি অনেক উপভোগ করি।”
ব্যাটিংয়ের এ পজিশনে অভ্যস্থ হলেও এমন উইকেট আর বোলিং আক্রমণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা একটু কঠিন বলে মানছেন তিনি, “এখানে পার্থক্য হচ্ছে, বোলার গুলোর অনেক কোয়ালিটি থাকে। তাছাড়া যেই কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে, এখানে অবশ্যই ব্যাটিংটা কঠিন। এটা সত্যি যে আমরা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খেলছি না। ঘরোয়া লিগে আমাদের উইকেট যেমন ফ্ল্যাট থাকে, অনেক আলগা বল বেশি পাওয়া যায়, এখানে বোলাররাও ভালো, কন্ডিশনও অনেক কঠিন। সবকিছু মিলিয়ে অবশ্যই ব্যাটিং করাটা কঠিন। তারপরও যেভাবেই হোক যত কঠিনই হোক, ব্যাটসম্যান হিসেবে আমাকে মেনে নিতে হবে এবং সেটা কাটিয়ে উঠতে হবে।”