• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    '২-০ তে জেতার জন্য যা দরকার সেটাই আমরা করব'

    '২-০ তে জেতার জন্য যা দরকার সেটাই আমরা করব'    

    গত বছর মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর মুশফিকুর রহিম বলেছিলেন, চট্টগ্রামে তারা জেতার জন্যই খেলবেন। চট্টগ্রামে অবশ্য বাংলাদেশ ড্র করার লক্ষ্য নিয়েই উইকেট বানিয়েছিল, তাতেও ম্যাচটা বাঁচানো যায়নি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও কি নিরাদপদ পথে হেঁটে সিরিজটা জিততে চাইবে বাংলাদেশ? অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আজ সংবাদ সম্মেলনে সরাসরিই বললেন, ম্যাচ জেতার জন্য যা করা দরকার সেটাই তারা করবেন।

    ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এলেও দেশের মাটিতে চট্টগ্রামেই প্রথম জিতেছে বাংলাদেশ। এবার সামনে প্রথম সিরিজ জয়ের হাতছানি। সাকিব পরিষ্কার করে দিলেন, জয়টাই তাদের প্রথম লক্ষ্য, ‘অবশ্যই জেতার জন্য খেলব আমরা। যদি ওইরকম কোন সিচুয়েশন আসে যেখানে হয়তো ড্র করার সম্ভাবনা আছে, তখন সেটা চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে ফার্স্ট টার্গেট অবশ্যই জেতার জন্য খেলা। বাংলাদেশের জন্য স্পেশাল হবে যদি আমরা মনে করি ২-০ তে জিততে পারি। জন্য যা কিছু করা দরকার, যেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। যদি সেটা কোনোভাবে না হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য যেন ১-০ তে সিরিজ জিতি, কারণ আল্টিমেট লক্ষ্য সিরিজ জেতা। কিন্তু আমরা ডিফেন্সিভ ওয়েতে সিরিজটা জিততে চাই না। আমরা চাই পজিটিভ ফ্রেম অব মাইন্ড নিয়ে সিরিজটা জিতি এবং ২-০ তে জিতি।’

    সাকিব বললেন, সিরিজ জেতা নিয়ে আলাদা করে কোনো চাপও নিচ্ছেন না তারা, ‘না আমার তো মনে হয় না প্রেশার কিংবা অতিরিক্ত কোন চাপ আছে। গত দুই দিন ড্রেসিং রুমে বসে যা দেখেছি, সবাই খুব রিলাক্স মুডে আছে। খুবই ভালো সিচুয়েশনে আছে, একটা ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে টিমের যতটুক আত্মবিশ্বাস থাকা দরকার ঠিক ততটুকই আমাদের আছে। আমি মনে করি ড্রেসিং রুমের আবহ খুবই ভালো অবস্থায় আছে। এটা যেন আমরা নেক্সট কয়েকদিন ধরে রাখতে পারি, যেই কয়দিন টেস্ট যায়। ’

    সিরিজ জয়ের কথা বললে মিরপুরের উইকেট কেমন হবে সেই প্রশ্নটাও সম্পূরকভাবে চলে আসে। সাকিব অবশ্য উইকেটের চরিত্র বুঝেই অনুমান করতে চান, ‘আসলে উইকেট দেখে সবসময় প্রেডিক্ট করা যায় না। এটা পৃথিবীর কোন উইকেটই যায় না। বলতে পারবে এরকম হতে পারে, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না এরকমই হবে। মিরপুরের উইকেটও সেদিক থেকে একই রকম। সো যখন খেলাটা শুরু হবে তখন গেলে বোঝা যাবে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে টেস্ট ম্যাচ পাঁচ দিনের খেলা। প্রতিদিন উইকেট চেইঞ্জ হয়, প্রতি সেশনে উইকেট চেইঞ্জ হয়। আসলে কোন ফিক্সড প্ল্যান মাথায় নিয়ে না খেলাই উচিত। ওপেন মাইন্ডে থাকলে বরং টিমের জন্য ভালো। ’