• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    ব্যাটিং অর্ডারের মিউজিক্যাল চেয়ার এবং সাকিবের পরামর্শ

    ব্যাটিং অর্ডারের মিউজিক্যাল চেয়ার এবং সাকিবের পরামর্শ    

    বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার যেন অনেকটা ‘জিগস-পাজলের’ মতো হয়ে গেছে। একটা ঠিক হলে আরেকটাতে যেন গড়বড় হবেই। চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের পর ইমরুল কায়েসের চোটে ওপেনিংয়েই একটা পরিবর্তন আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন শুধু মুশফিকুর রহিমের কিপিং না করার জন্য ব্যাটিং অর্ডারে হয়ে যেতে পারে ওলটপালট।

    চট্টগ্রাম টেস্টে ইমরুল কাঁধে চোট পাওয়ার পর ওপেনিংয়ে একটা পরিবর্তন হতোই। সাদমান ইসলাম আগে থেকেই ১৪ জনের দলে ছিলেন, সেজন্য নতুন করে কাউকে নিতেও হয়নি বাংলাদেশকে। কিন্তু কাল অনুশীলনে মুশফিকুর রহিমের হাতের চোটটাই আবার ভেস্তে দিতে পারে সব পরিকল্পনা। মুশফিকের চোট গুরুতর নয়, আজও নক করেছেন। কাল খেলা নিয়েও খুব অনিশ্চয়তা নেই। কিন্তু কিপিং করা নিয়ে আজ পর্যন্তও ছিল সংশয়।

    মুশফিক যদি কিপিং না-ই করেন, তাহলে দায়িত্বটা কার ওপর বর্তাবে? লিটন দাসকে বিকল্প হিসেবে ডাকা হয়েছে, সেক্ষেত্রে দায়িত্বটা তাঁর ওপরেই পড়বে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ওপেনিং করেছিলেন লিটন, কিন্তু কিপিং করেননি তখন। এবার কিপিং করলে ওপেনিং করাটা কি স্মভব? সাকিবও আভাস দিলেন, লিটন এলে ওপেনিং অন্তত করছেন না। তাহলে লিটন খেলবেন কার জায়গায়?

    সরল অঙ্ক যা বলে, খড়গটা মোহাম্মদ মিঠুনের ওপর দিয়েই যাবে। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, মুমিনুল এই চার জনের স্থান তো দলে পাকাই। কিন্তু লিটন কিপার হিসেবে খেললে কোন পজিশনে ব্যাট করবেন?

    সর্বশেষ চার টেস্ট লিটন খেলেছেন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে। এর আগে টেস্টে যে দুই ম্যাচে কিপিং করেছেন, দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার ইনিংসেই নেমেছিলেন পাঁচে। চট্টগ্রাম টেস্টে আবার পাঁচে নেমেছেন সাকিব আল হাসান। লিটন সেখানে খেললে সাকিবকে মিঠুনের জায়গা নিতে উঠে আসতে হয় চারে। কিন্তু মুশফিক কি শুধু ব্যাটসম্যান হিসবে খেললে ছয়েই খেলবেন?

    গত দুই বছর যেসব টেস্টে মুশফিক শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন, মূলত চারেই ব্যাট করেছেন। কিপিং করতে না পারলে সেখানেই ব্যাট করবেন কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। সেক্ষেত্রে লিটন ছয়ে নেমে গিয়ে সাতে নামতে পারেন মাহমুদউল্লাহ। সাকিবকেও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মুশফিক কিপিং না করলে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে উঠে আসবেন কি না। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সাকিব যা বললেন, তার অর্থ দাঁড়ায় মুশফিকের ব্যাটিং অর্ডার বদল করতে চান না তারা, ‘এটা আসলে দুইভাবে নেওয়া যেতে পারে। একটা হচ্ছে, আপনি জানেন একজন সেটল অবস্থায় আছে, ভালো করছে। মোটামুটি গ্যারান্টেড বলতে পারন। ওই জায়গাতে ক্রিকেটে টিম ম্যানেজমেন্ট বা যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা বেশি চেঞ্জ করতে চান না। যে জায়গাগুলাতে অভাব আছে ওখানে নতুন কেউ এসে ফিলাপ করবে ওই রকমই আশা থাকে। একারণে আমরা খুব বেশি একটা জায়গা পরিবর্তন করতে চাই না। এ জায়গায় সফল হয়েছে অন্য জায়গায় সফল হবেই তার গ্যারান্টি নেই।’