শেওয়াগের উদাহরণটাই মনে করিয়ে দিলেন সাকিব
‘আমাকে আমার মতো খেলতে দাও’- সাকিব আল হাসানের এ আকুতি নতুন নয়। গত বছর হায়দরাবাদ টেস্টে পাগুলে এক শট খেলে উইকেট দিয়ে আসার পর সাকিব বলেছিলেন, তিনি এভাবেই খেলেন। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও স্লগ করতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন, যদিও সেটির জন্য মূল্য দিতে হয়নি দলকে। মিরপুরের উইকেটে আক্রমণাত্মক খেলাই সমাধান কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব পুরনো কথাই বললেন আজ।
চট্টগ্রামের স্পিনিং ট্র্যাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিমরন হেটমেয়ার দ্রুত রান তুলে কিছুটা এলোমেলো করে দিতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনারদের। ইনিংসটা খুব বড় করতে না পারলেও হেটমেয়ার যতক্ষণ ছিলেন, বাংলাদেশ স্বস্তিতে ছিল না একদমই। মিরপুরেও অমন উইকেট থাকলে বাংলাদেশ কি সেই পথেই হাঁটবে? সাকিব চট্টগ্রামে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছিলেন, আজ সেটিরই পুনরাবৃত্তি করলেন, ‘আমি সবসময় অনুভব করি যার খেলার ধরন যেটা সেটা থেকে বের না হতে। যদি না খুবই প্রয়োজনীয়তা আসে দলের জন্য। আমি মনে করি যে কারো কোন ন্যাচারাল গেইম প্ল্যান, সেটা যেন পরিবর্তন না করে।’
বীরেন্দর শেওয়াগ ওয়ানডের ধাঁচে খেলেও টেস্টে ছিলেন দারুণ সফল। সাকিব তাঁর উদাহরণই টানলেন, ‘বীরেন্দর শেওয়াগ টেস্ট ম্যাচে যদি ফার্স্ট বলে যদি চার মারার সুযোগ পায় তাহলে সেটাও চার মারতো, সেটা টি-টুয়েন্টিতেও সেইম, ওয়ানডেতেও সেইম ছিল। আমার কাছে মনে হয় এই মানসিকতা থাকা খুবই জরুরী। যেই ব্যাটসম্যানটা টি-টুয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে ম্যাচে ফার্স্ট বলে চার মারার জন্য দাঁড়ায়, সেই ব্যাটসম্যানকে আমি কখনই চাইব না টেস্ট ম্যাচে ফার্স্ট বল ডিফেন্ড করুক কিংবা ছেড়ে দিবে। আমি চাইবো ফার্স্ট বলে ওরকম মাইন্ড সেট নিয়েই যাক যে সে বল পেলে চার মেরে দিবে। কারণ ওটাই ওর খেলা, ওইভাবে খেলেই সে সাকসেকফুল এবং এই খেলা দেখেই কিন্তু টিমের সিলেক্টররা তাঁকে সিলেক্ট করে। এখানে এসে আলাদা কিছু করার কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। সবাই সবার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলাই আমার কাছে মনে হয় জরুরী। কারো কাছ থেকে কিন্তু টিম আউট অফ দ্য বক্স, ন্যাচারের বাইরে গিয়ে খেলার কথা বলে না। যেটা করে সে সাফসেসফুল হয়েছে সেটার জন্যই তাঁকে সিলেক্ট করা হয়। ওর থেকে বাইরে কারো কিছু করার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। ’
যেমন এই টেস্টে সাদমান ইসলামের অভিষেক হচ্ছে, তা একরকম নিশ্চিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে লম্বা ইনিংস খেলার জন্য পরিচিত সাদমান, তাঁর ব্যাটিং অনেকটা টেস্ট মেজাজের সঙ্গে যায়। সাদমানের জন্য সেই ফর্মুলার কথাই বললেন সাকিব, ‘সাদমান টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এক্সাইটিং প্রসপেক্ট। ওর খেলার ধরন আমি যতটুকু দেখেছি এবং শুনেছি, টেস্ট ক্রিকেটের সাথে খুব মানানসই। ও যদি সুযোগ পায় আমি আশা করবো সে যেন দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারে। ’