পেস-স্পিনে ভারসাম্য রাখতে চায় উইন্ডিজ
চট্টগ্রাম টেস্ট রীতিমতো পড়েছে স্পিন-ঘূর্ণিপাকে। মিরপুরও কি অপেক্ষা করছে তেমন কিছু নিয়েই? ইতিহাস বলে, স্পিনারদের আধিপত্য এখানে, এখন পর্যন্ত এ ভেন্যুর সব টেস্ট মিলিয়ে স্পিনাররা নিয়েছেন ৫৯.৫৪ শতাংশ উইকেট। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলিয়েছিল দুই পেসার- শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও কেমার রোচকে। দুজন মিলে দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন মোট ২০টির মধ্যে ৬টি উইকেট।
গ্যাব্রিয়েল মিরপুরে খেলতে পারছেন না নিষেধাজ্ঞার কারণে। তার বদলে বাড়তি স্পিনার খেলানোর অপশনও নেই ক্যারিবীয়দের। বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাতে না চাইলে স্কোয়াডে বাকি থাকা পেসার কিমো পল ও শেরমন লুইস বা পেস-বোলিং অলরাউন্ডার রেমন রেইফারের একজনই জায়গা নিবেন গ্যাব্রিয়েলের। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটও বলছেন, স্পিনাররা আধিপত্য করলেও তিনি দুইয়ের ভেতর ভারসাম্য রাখতে চান দলে।
‘অবশ্যই ভারসাম্য থাকবে। প্রথম টেস্টে স্পিনাররা যা ক্ষতি করেছে, তবে পেসাররা উইকেট নিতে পারে না, এমনটা নয়। আমার মনে হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারলে, চাপ তৈরি করতে পারলে আমরা উইকেট পাব। কাজ করার জন্য পেস ও স্পিন দুইটির পক্ষেই আমি”, টেস্টের আগেরদিন বলেছেন ব্রাথওয়েট।
বোলিংয়ে নাহয় স্পিন-পেসে ভারসাম্য রাখলেন, তবে বাংলাদেশী স্পিনারদের সামলানোর কাজটাও তো করতে হবে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের। স্পিনে খেলার ক্ষেত্রে ব্রাথওয়েটের পরামর্শ এমন, “এমন উইকেটে ইতিবাচক থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। বাউন্সে তারতম্য থাকে, এমনকি আমিও সামনে চলে যায়। আমাদের নিজেদের রক্ষণ ও আক্রমণের পদ্ধতির ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। পা সচল রেখে প্রতিটা বল ধরে খেলতে হবে। মানসিকতায় পরিস্কার থাকতে হবে, কিভাবে আমরা করব ব্যাটিংটা। তবে অবশ্যই বিশ্বাস করি, আমরা এটা করতে পারব।”
সেটা না করতে পারলে উইন্ডিজের জন্য অপেক্ষা করে থাকবে কঠিন কিছু। সিরিজে পিছিয়ে থেকে শেষ ম্যাচ শুরু করাটা বরাবরই চাপের, তবে সেটা স্বীকার করতে চাইলেন না তিনি, “আমরা চাপে নেই। আমরা জানি, কী করতে হবে। ১-০তে পিছিয়ে আছি, অবশ্যই সিরিজ ড্র করতে চাইব। শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানকে অবশ্যই জুটি গড়তে হবে, এই টেস্ট জেতার জন্য।”