যে কারণে মিরপুরের উইকেটের দিকেই পক্ষপাত মাহমুদউল্লাহর
ডিসেম্বরের ঝলমলে সকালে আজ লাঞ্চের আগে হঠাৎ করেই মেঘের আনাগোনা। সেই মেঘ কাটতে সময় লাগেনি, আবার হেসেছে আকাশ। তবে যত দ্রুত আকাশের রঙ বদলেছে, তার চেয়েও যেন বেশি বদলেছে ম্যাচের রঙ। বা আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে উইকেট। সকালে যে উইকেটে বাংলাদেশ রান তুলেছে অনায়াসে, দিনের শেষে তা হয়ে গেল ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি। কিন্তু আসলেই কি উইকেট অতটা খারাপ ছিল নাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের বেশি ধুঁকতে হয়েছে? আর চট্টগ্রামের ওই উইকেটের চেয়ে মিরপুরের উইকেটটাই কি বাংলাদেশের জন্য বেশি উপযুক্ত?
মাহমুদউল্লাহ কোনো প্রশ্নেরই সরাসরি উত্তর দিলেন না। সকালে নিজে ব্যাট করেছেন সাকিব-লিটন, পরে মিরাজ-তাইজুলের সাথে। সাকিব-লিটনের সাথে দ্রুত রান তুলছিলেন, পরে তাতে লাগাম পরিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সকালেও ব্যাট করা খুব সহজ ছিল না, ‘উইকেটে বল খুব যে ব্যাটে আসছিল এমন ছিলো না। কষ্ট করে ব্যাট করতে হয়েছে। একটা সেশন, গত কাল বিকেলের দিকে, হার্ডলি দুইটা কি তিনটা বাউন্ডারি হয়েছে। সাকিবও বেশ কষ্ট করে ব্যাট করছিলো।’
চট্টগ্রাম ও মিরপুরের উইকেটের পার্থক্য কতটা? সেবার দ্বিতীয় দিন থেকেই স্পিনারদের খেলাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছিল, আজ প্রথম দুই সেশনে অন্তত সেরকম মনে হয়নি। মাহমুদউল্লাহও বলেছেন, এই উইকেট চট্টগ্রামের চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো, ‘দুইটা উইকেট আমার কাছে মনে হয়েছে দুইরকম। চট্টগ্রামের উইকেটে আরও বেশি হেল্প ছিল, আমার কাছে মনে হয়। তারপরও বোলারাদের ক্রেডিট যে তারাও ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। নইলে এই পাঁচটা উইকেট পাওয়া সম্ভব হতো না। কারণ সব গুলোই মনে হয় বোল্ড আউট হয়েছে। এই উইকেটটা তুলনামূলক কিছুটা হলেও বেটার ছিল! এখন কিছুটা ফাটল দেখা যাচ্ছে। আশা করি সামনে আরও তৈরি হবে।’
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্টে মিরপুরের যে উইকেট ছিল, এবারের উইকেটটা তার কাছাকাছিই। বাংলাদেশ কোন ধরনের উইকেটে খেলা এগিয়ে রাখবে? মাহমুদউল্লাহ সরাসরি কিছু বললেন না, তবে তাঁর পক্ষপাত মিরপুরের দিকেই, ‘এটা নির্ভর করে, কারণ আমরা সব সময় আমাদের স্পিনারদের ব্যাক করি। এই কারনে উইকেটে স্পিনারদের জন্য হেল্প থাকা ভালো। ব্যাটসম্যানরা তখন কিছুটা হলেও আরও ইতিবাচক ব্যাটিং করতে পারবে। এই কারণে ব্যাটসম্যানদের জন্যও এটা ভালো।’
তবে উইকেট নিয়ে এত কথা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের অমন আত্মঘাতী ব্যাটিংয়ের জন্যই। সেই ব্যাখ্যা সবচেয়ে ভালো আরা দিতে পারতেন, তাদের কেউ আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। অগত্যা স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানকেই করতে হলো প্রশ্নটা। তিনি অবশ্য ভালো একটা ব্যাখ্যাই দিলেন, ‘আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি টার্ন আশা করে খেলেছিল। কিন্তু বল সোজা এসেছে, সেজন্য তারা উইকেট হারিয়েছে। আমাদের পরের দিন এই জায়গায় বেশ উন্নতি করতে হবে।’