বাংলাদশের রেকর্ড জয়ের সঙ্গে যত রেকর্ড
১
নিজেদের মাত্র ২য় টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ, ৭ম টেস্টে প্রথমবার পড়েছিল ফলো-অনে। ১১১ টেস্ট ও প্রায় ১৮ বছর পর প্রতিপক্ষকে প্রথমবার ফলো-অন করানোর পর প্রথমবার ইনিংস ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। ইনিংস ব্যবধানে জিততে এর চেয়ে বেশি টেস্ট অপেক্ষা করতে হয়েছে শুধু নিউজিল্যান্ডকে, কিউইরা জিতেছিল ১১৯তম টেস্টে। সবচেয়ে কম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড পাকিস্তানের, লক্ষ্ণৌতে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় টেস্টে তারা জিতেছিল ইনিংস ও ৪৩ রানে।
১১১
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্কোরই বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কম রান। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ে এই মাঠেই অল-আউট হয়েছিল ১১৪ রানে। আর এ বছর কিংস্টনে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৯ রানে অল-আউট হয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ১৬৬ রানে।
১২/১১৭
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ম্যাচসেরা বোলিংয়ে নিজের রেকর্ডটা নিজেই ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০১৬ সালে ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সেও ১২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, তবে সেবার খরচ করেছিলেন ১৫৯ রান। সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে একাধিকবার ম্যাচে দশ উইকেট হলো মিরাজের। সাকিব-মিরাজ ছাড়া ম্যাচে দশ উইকেট আছে এনামুল হক জুনিয়র ও তাইজুল ইসলামের, একবার করে।
৪০
চট্টগ্রাম টেস্টে মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছিলেন, পাননি উইকেট। মিরপুরে বসেই থাকলেন। প্রথমবারের মতো দুই টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষের ৪০ উইকেটই নিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। আগের রেকর্ডও ছিল বাংলাদেশের, ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা।
৮
টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর চেয়ে বাজেভাবে হেরেছে এর আগে সাতবার। এশিয়ার মাটিতে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাজয় তাদের, শেষ অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে রাজকোটে ইনিংস ও ২১৭ রানে হেরেছিল তারা। উইকেটপ্রতি এ সিরিজে ১৭.৭২ রান করে তুলেছে উইন্ডিজ, দুই বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে এর চেয়ে বাজে সময় তাদের গেছে এর আগে মাত্র তিনবার।
৯
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম আটটি বাউন্ডারিই ছয় ছিল শিমরন হেটমায়ারের। শেষ পর্যন্ত মেরেছেন নয়টি ছয়, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ক্রিস গেইলের সঙ্গে যা যৌথ সর্বোচ্চ। গলে ৩৩৩ রান করতে করতে এতগুলো ছয় মেরেছিলেন গেইল, হেটমায়ার মারলেন ৯৩ রান করতেই। সব মিলিয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ড পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের, ১২টি।