ওয়ালশের হতাশা, ওয়ালশের গর্ব
পেশাদার ক্রিকেট কোচের জীবনটাই এমন, সাবেক ক্রিকেটার হলে তো কথাই নেই। এক দলে খেলার অনেক স্মৃতি নিয়ে হয়তো বসে থাকতে হচ্ছে আরেক দলের ড্রেসিংরুমে, পরিকল্পনা করতে হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই। এটা অবশ্য নতুন করে কিছু বলার নেই, নিজ দেশের বিরুদ্ধে অন্য দেশের কোচ হওয়ার ঘটনা তো রাত-দিনের মতোই স্বাভাবিক। তবে দলটা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাবেক ক্রিকেটারের নাম যখন কোর্টনি ওয়ালশ, এবং সেই দলের বর্তমান দুর্দশা যখন চরম- তখন তো তার মতটা গুরুত্বপূর্ণই। ক্যারিবীয়দের সোনালী দিনগুলির শেষের দিকে সাক্ষী ছিলেন, সেই উইন্ডিজের উপমহাদেশের শেষ দুই সিরিজের পারফরম্যান্সের গ্রাফ যেন নিচ থেকে আরো নিচের দিকে যাচ্ছে।
ওয়ালশ অবশ্য এক্ষেত্রে দিলেন কূটনৈতিক উত্তরই, “এটা বলতে পারি, হয়তো যেভাবে এসব ঘটলো (সিরিজের ফল) তাতে আমি হতাশ, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে খুশী আমি। আমরা জয়ের ধারায় আছি, সেটা নিয়ে আমার গর্ব আছে।
“ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে হতাশ হতে পারেন আপনি এই পারফরম্যান্সে, ভারত ও এখানে জয়ের ব্যবধানে দুঃখ পেতে পারেন। তবে আশা করা যায়, বাংলাদেশ এখানে সবগুলো সিরিজ জেতার পর যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলে যাবে, তখন তাদের (ও. ইন্ডিজের) পারফরম্যান্সে উন্নতি হবে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ কথা শুনতে হয়েছিল ওয়ালশকে, “সবারই ভাল লেগেছিল, তবে ব্যক্তিগতভাবে দেশে কিছু ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আমাকে অনেক প্রশ্ন করেছিল। মায়ামি নিয়ে অবশ্য তেমন কিছু বলার নেই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর অবশ্য এটা কমে এসেছিল। এখন টেস্ট সিরিজ জয়ের পর অনুভূতিটা দারুণ। এর অংশ হতে পেরে আমি শুধু খুশিই হতে পারি। ছেলেরা ভাল খেলেছে, আমি খুশি, অনেক বেশি গর্বিত।”
ক্যারিয়ারে ফাস্ট বোলিংয়ের সঙ্গে ওয়ালশ বিখ্যাত ছিলেন টেইলএন্ডে ব্যাটিংয়ের জন্যও। এমন উইকেটে তিনি হলে কেমন ব্যাটিং করতেন, এ প্রশ্নের জবাব তাই ওয়ালশ দিলেন হাসতে হাসতে, “ব্যাটিংয়ে আমার বল ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে চাইছো?”
সেটা করলেই বা কী! ওয়ালশ হয়তো এড়িয়েই যাবেন।