শেষের ঝড়ে ৩৩১ পর্যন্ত গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১ম ইনিংস শেষে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ৩৩১/৮ ( হোপ ৮১, চেজ ৬৫*; রুবেল ২/৫৫, নাজমুল অপু ২/৬১, মেহেদী রানা ২/৬৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ওয়ানডের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার একটা উপলক্ষ। তবে বিকেএসপিতে আজকের প্রস্তুতি ম্যাচটা বাংলাদেশের দুজনের জন্যও অনেক বেশি। লম্বা বিরতির পর আবার বোলিংয়ে ফিরেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, বিসিবি একাদশের হয়ে প্রস্তুতিটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের। চোট কাটিয়ে অনেক দিন পর আবার ব্যাট হাতে নিচ্ছেন তামিম ইকবাল, কেমন করেছেন সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা ভালোই মকশো করে নিয়েছেন, শেষ দিকের ঝড়ে রান হয়েছে ৩৩১।
রুবেল হোসেনের সঙ্গে আজ নতুন বল হাতে নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সাফল্য পাননি কেউই, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। দুই ওপেনার কাইরন পাওয়েল ও শেই হোপ ১৫ ওভারের মধ্যে ১০০ পার করে ফেলেছিলেন। ৪৩ রান করে নাজমুল অপুর বলে ক্যাচ দিয়েছেন পাওয়েল।
ড্যারেন ব্রাভো ও হোপ অবশ্য এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ২৭ রানেই থেমে যায় অনেক দিন বাদে দলে ফেরা ব্রাভোর ইনিংস, মেহেদি হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। হোপ অবশ্য দারুণ খেলছিলেন, সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল। তবে ৮৪ বলে ৭৮ রান করে স্টাম্পড হয়ে যান নাজমুলের বলে। এরপরেই ছোত একটা ধস নামে ক্যারিবিয়দের। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে স্যামুয়েলসকে ৫ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। প্রথম স্পেলে ৪ ওভার বোলিং করেছেন অধিনায়ক । প্রথম তিন ওভারে ৬ রান দিলেও চতুর্থ ওভারে ৩ বাউন্ডারিতে দিয়েছেন ১৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৮ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে পেয়েছেন স্যামুয়েলসের উইকেট।
এর মধ্যে উইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলও কোনো রান না করে নবাগত শামীম পাটোয়ারির বলে ক্যাচ দিয়েছেন। ১৬৭ থেকে ১৭৬- এই ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেটমেয়ার তখনও ছিলেন, ২৭ বলে ৩৩ রানও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু রুবেলকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিডউইকেটে। এরপর ফাবিয়ান অ্যালেন ও রস্টন চেজ শুরু করেছেন ঝড়। শেষ ১০ ওভারে দুজন যোগ করেছেন ৯৯ রান। অ্যালেন ৩২ বলে ৪৮ রান করে রুবেলের বলে এলবিডব্লু হয়ে গেলেও ৫১ বলে ৬৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন চেজ।