'কঠিন' ব্যাপারটা উপভোগও করছেন রোডস
বাংলাদেশ দল যখন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল, বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস বিকেএসপিতে চলে গেছেন প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে। তামিম-সৌম্যদের ব্যাটিংটা দেখেছেন কাছ থেকেই। বিশেষ করে সৌম্যের সেঞ্চুরির পর তামিমের ওপেনিং সঙ্গী নিয়ে ভাবনাটা আরও বেড়ে যাওয়ার কথা। কোচ নিজেও স্বীকার করলেন, টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য কঠিন একটা ্সিদ্ধান্ত এটা।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুইটি সেঞ্চুরিসহ বাংলাদেশের এক সিরিজে রেকর্ড রান করেছেন ইমরুল কায়েস। লিটন দাস এক ম্যাচে করেছেন ৮৩, শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য সরকারও। প্রথম ম্যাচে তামিম ফিরছেন, এটা নিশ্চিতই। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গী কে হবেন সেটা একটা সমস্যা বলেই স্বীকার করলেন, ‘বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন, তবে এক দিক দিয়ে এটা অসাধারণ ব্যাপারও। আমরা বাংলাদেশে ভালো কিছু ক্রিকেটারের জন্য হন্যে হয়ে মরছি আর এখন আমরা জানছি আমাদের বেশ কয়েকজন আছে। ইমরুল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ৩৪৯ রান করেছে, তামিমও ফর্মে ফিরেছে। লিটনও ৮০ ছাড়ানো একটা ইনিংস খেলেছিল, এশিয়া কাপ ফাইনালের সেঞ্চুরি তো বেশিদিন আগের কথা নয়। সৌম্য তিন নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছে, আজও করেছে। এটা একটা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা। আমি একাদশ জানি না, আমার কাছে জানতে চাইবেন না।’
তামিমকে অনেক দিন পর কাছ থেকে ব্যাটিং করতে দেখলেন রোডস। তাঁর এবং সৌম্যের সেঞ্চুরি বড় পাওয়া হিসেবেই মানলেন, ‘আমাদের কয়েকজনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ ছিল। বিশেষ করে চোট থেকে ফেরার পর তামিমের জন্য তো বটেই। সে যে ক্রিকেট থেকে দূরে ছিল তা নয়ল তবে মনে হয়েছে সে সেরা ফর্মে ফিরে আসছে। আমাদের ওয়ানডে দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য ও। সৌম্যও বড় একটা পাওয়া ছিল দলের জন্য। ’
রোডস বলছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে লড়াইটা বেশ কঠিনই হবে, ‘তিনটি ম্যাচই হবে বেশ কঠিন। জিততে হলে আমাদের সেরাটাই দিতে হবে। টেস্ট সিরিজে হারের পর ওরা এখানে ভালো করতে চাইবে। আমরা যেরকম ওয়েস্ট ইন্ডিজে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছি, ওরাও সেরকম কিছু চাইবে। আমাদের বেশ সতর্ক থাকতে হবে, ওরা ভালো একটা দল।’