একাদশ যা-ই হোক, মাশরাফি বলছেন কথা হবেই
মাশরাফি বিন মুর্তজার জন্য সমস্যাটা বেশ অন্যরকম। অনেক বার মন্দের ভালো থেকে কাউকে বেছে নিতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। কিন্তু এখন ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন দাস এমন অবস্থায়, একজনকে বাদ দেওয়াও খুবই কঠিন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কে বাদ পড়ছেন তাতে বড় একটা ভূমিকা অধিনায়কের থাকতেই পারে। তবে আজ মিরপুরে প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি মনে করছেন, যে একাদশই হোক, শেষ পর্যন্ত কথা হবেই।
ওপেনিং সমস্যা নিয়ে এই কদিনে কথা হয়েছে অনেক। লিটন দাস যেম ন এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছেন ভালো চোখে, কোচ স্টিভ রোডসও ব্যাপারটা উপভোগ করছেন। মাশরাফির জন্য এক দিক দিয়ে তা মধুরই। তবে একাদশ নির্বাচনে অধিনায়কের যে ভূমিকা, তাতে তাঁর দোটানাও কম থাকার কথা নয়। মাশরাফি অবশ্য জানেন, শেষ পর্যন্ত দল যা-ই হোক, কথা হবেই, ‘আর আপনি যেটা বললেন ভাল (মধুর) সমস্যা হলো সবাই ফর্মে আছে টপ অর্ডারে। যেটা আমরা অনেক দিন থেকে চাচ্ছিলাম। একটা সিদ্ধান্ত যেতেই হবে। ভাল হলে মনে হবে এটাই ঠিক আছে। খারাপ হলে মনে হবে যে রান করেও বাদ গেছে হয়ত ওকেই খেলালে ভাল হত। কথাবার্তা অনেক চলবে। এখনো অনেকের চিন্তাভাবনা আছে। কোচ, নির্বাচকদের সঙ্গে আলাপ করে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।’
কিন্তু যে বাদ পড়বে তাঁর প্রতি বার্তাটা কী হবে? অধিনায়ক বলছেন, ব্যাপারটা ক্রিকেটীয় দৃষ্টিতে দেখতে বলছেন মাশরাফি, ‘খুব সাধারণ। প্রথমত যে বাদ পড়ছে তার সঙ্গে আলাদা করে বসার কিছু নেই। এখানে কম্বিনেশনের ব্যাপার থাকে। ওপেনিংয়ে ইমরুল শেষ তিনটা ম্যাচে প্রায় সেঞ্চুরি, দুইটা সেঞ্চুরি, একটা বড় হাফ সেঞ্চুরি আছে। এখন কথার কথা যদি ইমরুলকে বসিয়ে দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে যদি লিটন খেলে, সেক্ষেত্রে ডানহাতি-বা হাতি কম্বিনেশনটা জরুরী কতটুকু এটা দেখতে হবে, এর মানে এই না যে ইমরুল বুঝবে না। আবার ইমরুল খেললে লিটনকেও বুঝতে হবে হি ইজ ইন ফর্ম। তো এই ব্যাপারগুলো আছে। এর মানে এই না যে তাদেরকে খাটো করা বা তারা জরুরী না, সেটা একবারে জন্যও না।’
অধিনায়ক বলছেন, ১৬ জনের দল করাই হয়েছে যেন ফর্মে থাকা কেউ বাদ না পড়েন, ‘আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ যে, যদি ১৪ জনের দল করতাম, ইনফর্ম প্লেয়ার টিমের বাইরে রাখলে, ওদের উপর আরও মানসিক আঘাত হতো। তাই আমরা ওই জায়গাটা আগে নিশ্চিত করতে চেয়েছি যে, ১৬ জনের দায়িত্ব আমাদের সবার আছে। এবং বিশ্বকাপ পর্যন্ত এভাবে যতটুকু পারা যায় রাখা। ইনশাল্লাহ সবাই যাতে সুস্থ থাকে, বেঁচে থাকে, এবং ফর্ম ক্যারি করে।’
সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য একটা বিকল্প প্রস্তাবও এলো। লিটন-ইমরুল-সৌম্যর যে কোনো একজনকে তো নিচেও ব্যাট করানো যায়। মাশরাফি অবশ্য হাসতে হাসতে সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিলেন না ,হ’তে পারে এমন অনেক কিছুই হতে পারে। কোন কিছু বলা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক অতীতে কয়েকজন ওপেনার নিচে ব্যাটিং করেছে। ইমরুল ছয়ে ব্যাটিং করেছে। অসাধারণ একটা ইনিংস খেলেছে। সৌম্য ফাইনালে সাত নম্বরে নেমে দারুন ব্যাটিং করেছে। হতে পারে। বিশ্বকাপের কথা ভেবে আমরা এমন কিছু করতেও পারি!’
তবে সেই সম্ভাবনা আপাতত ক্ষীণ বলেই জানা যাচ্ছে। সৌম্য যদি তিনেও নামেন, লিটন বা ইমরুলের মধ্যে কাল কপাপ পুড়ল সেটার জন্য কাল টস পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।