২০০ ম্যাচের 'ইতিহাসের' কথা খেয়ালই ছিল না মাশরাফির
প্রশ্নটা করতেই মাশরাফি বিন মুর্তজা বললেন, ‘ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। আমার আসলে খেয়াল ছিল না।’
অর্জনটা ভুলে যাওয়ার মতো অবশ্যই নয়। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ২০০ ওয়ানডে খেলার কীর্তি কারও নেই। মাশরাফি বিন মুর্তজা সবকিছু ঠিক থাকলে কাল প্রথমবারের মতো সেই প্রথমের চূড়ায় উঠবেন।
একটা অবশ্য ছোট্ট ফাঁক থেকে যাচ্ছে। মাশরাফির কাল ক্যারিয়ারের ২০০ ওয়ানডে হলেও বাংলাদেশের হয়ে হচ্ছে না। ১১ বছর আগে এশিয়া একাদশের হয়ে দুইটি ম্যাচ খেলেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক, দেশের হয়ে তাঁর ম্যাচ ১৯৭টি। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সিরিজে বাংলাদেশের হয়েও ২০০ ম্যাচ হওয়ার কথা।
সেই তালিকার ঢোকার জন্য দুজনকে আরেকটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ১৯৫টি ওয়ানডে, সাকিব আল হাসান তাঁর চেয়ে তিনটি কম। এই সিরিজে না হলেও সামনের বছরেই সেই ক্লাবে ঢুকে যাবেন দুজন। ১৮৩টি ওয়ানডে নিয়ে তামিম ইকবালও বেশি পিছিয়ে নেই।
তবে এই রেকর্ড নিয়েও মাশরাফির কোনো উচ্ছ্বাস নেই। উচ্ছ্বাস আসলে দূরে থাকুক, বাড়তি কোনো অনুভূতিই নেই। নিজে অনেক বার বলেছেন, টেস্ট খেলাটাই তাঁর স্বপ্ন ছিল। সেটা শেষ হয়ে গেছে আগেই, এখন মনযোগ ওয়ানডেতেই। কিছুদিন আগে ওয়ানডেতে ২৫০ উইকেট নিয়েও একরকম নির্লিপ্ত ছিলেন। আজও সেটি মনে করিয়ে দেওয়া হলে মাশরাফি ভাবাবেগহীনভাবে বললেন, 'আমি আগেও বলেছি, এগুলো আমাকে স্পর্শ করে না। এগুলো আমার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণও না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালকের ম্যাচটা জেতা। এইদিক থেকে ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে অন্তত ২০০তম ম্যাচ হচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো লাগবে একটা সময়। যখন মানুষ বলবে, তুমি বাংলাদেশের হয়ে ২০০টা ম্যাচ খেলেছো। এটা অবশ্যই একটা অর্জন। ওই জায়গা থেকে অবশ্যই ভালো লাগবে।''
তবে এসবের বাইরে কালকের ম্যাচ নিয়েই ভাবতে চান মাশরাফি, 'কালকের ম্যাচের উপরে আর কিছুর গুরুত্ব একেবারেই নাই। এটা চিন্তা করে খেলার সুযোগ নেই। কালকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে জিততে হবে এটাই।'