নিজেকে চেনেন বলেই মনযোগ সরেনি মাশরাফির
প্রশ্ন উঠছিল অনেক কিছু নিয়েই। চারপাশ থেকে চাপের পাহাড় তাঁকে ঘিরে ধরেছিল। রাজনীতির মাঠে নামার পরেইপ্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, মাশরাফি বিন মুর্তজা ক্রিকেটে মনযোগটা দিতে পারবেন তো? সেই উত্তরটা এর চেয়ে ভালোভাবে দিতে পারতেন না বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। নিজের শততম ওয়ানডেতে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ম্যাচ শেষে এই ম্যাচটা অনেক কিছুর জবাব কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল মাশরাফির কাছে। জবাব হিসেবে তা ধরেননি, তবে মনযোগের বিষয়ে তাঁর একটা কথাতেই দিয়ে দিলেন অনেক উত্তর।
গত মাসে নড়াইল থেকে সামনের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মাশরাফি। এর পর থেকে জীবনটা একটু হলেও অন্যরকম হয়ে গেছে তাঁর। বিশেষ করে ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, রাজনীতির এই ডামাডোলে মাঠে কতটা পারফর্ম করতে পারবেন? এই ম্যাচের পর সেই প্রশ্ন হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার কথা। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন, দারুণ অধিনায়কত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও কখনো ম্যাচে চড়ে বসার সুযোগ দেননি।
তবে মাশরাফি এসব জবাব টবাব হিসেবে দেখছেন না। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের পর মনসংযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠারও কোনো সুযোগ নেই, ‘না আসলে জবাবের কি আছে, জবাবের কিছু নেই। খারাপ হলে কথা বলতো। এটাই স্বাভাবিক কিন্তু জবাব দেয়ার কিছু নাই। ১৮ বছর ধরে খেলছি এতো সহজে ফোকাস সরার তো কথা না। প্রত্যেকটা মানুষ নিজেকে খুব ভালো করে চেনে, আমি জানি না সবাই চিনে কিনা কিন্তু আমি নিজেকে চিনি, সো এত সহজে আসলে ফোকাস সরার কথা না। আর লাস্ট কিছু দিন তো আমি নিজেই চেষ্টা করে যাচ্ছি, বলটা যেখানে করতে চাই সেখানে ঠিক মতো করতে পারছি কিনা অনুশীলনে।’
বিকেএসপির পর আজও মাঠে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে মাশরাফির। উইকেট পাওয়ার পর বা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গ্যালারি থেকে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীকের নামে স্লোগান উঠেছে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফি তা এড়িয়ে গেলেন। আপাতত ক্রিকেটেই তাঁর মনযোগ, সেটা যে পুরো মাত্রায় আছে আজকের ম্যাচের পর তা না বললেও চলে।