• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    যোশির মতে, ওয়ানডেতে সাকিবই বিশ্বসেরা ক্রিকেটার

    যোশির মতে, ওয়ানডেতে সাকিবই বিশ্বসেরা ক্রিকেটার    

    সিলেট টেস্টের আগে স্টিভ রোডস বলেছিলেন, সাকিব আল হাসান ট্যাকটিক্যালি তাঁর দেখা সেরা অধিনায়ক। সেটা যতটা না বড় সার্টিফিকেট ছিল, আজ অনুশীলনের পর তার চেয়েও সাকিবকে বেশি প্রশংসায় ভাসালেন স্পিন কোচ সুনীল যোশি। এই মুহূর্তে সাকিবই বিশ্বসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার বলে মনে করেন যোশি।

    টেস্ট আর ওয়ানডেতে অলরাউন্ডারদের তালিকায় অনেক দিন ধরেই শীর্ষ্যে সাকিব। ওয়ানডেতে ৫ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল সাকিব ছাড়া আর মাত্র চার জনের- সনাৎ জয়াসুরিয়া, শহীদ আফ্রিদি, জ্যাক ক্যালিস ও আবদুল রাজ্জাকের। তার চেয়েও বড় কথা, ব্যাট আর বলে একসঙ্গে দলের সমান অপরিহার্য সাকিব ছাড়া ওয়ানডেতে খুব কম ক্রিকেটারই ছিলেন। তবে এই বছরটা ভালো যায়নি সাকিবের, সেটার জন্য তাঁর দায় অবশ্য সামান্যই। বছরের শুরুতে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর অনেকটা সময় ছিলেন বাইরে। এরপর ফিরলেও এশিয়া কাপের চোত আবারও জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে দেয় তাঁকে।

    সেই চোট কাটিয়ে সাকিব দলে ফিরেছেন, বলা যায় রাজার মতোই ফিরেছেন। টেস্টে অধিনায়ক হয়ে উইন্ডিজ-ধবলধোলাইয়ে পথ দেখিয়েছেন, হয়েছেন সিরিজসেরা। প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ার ৩০ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংসও খেলেছেন। যোশি আজ বলে দিলেন, ‘সাকিব শুধু আমাদের জাতীয় সম্পদ নয়, বলা যায় এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার ও। সংখ্যার কথা বাদ দিন, আপনি যদি ও কোন পর্যায়ের খেলোয়াড় সেদিকে দেখেন সে কতটা দারুণ প্রতিভাবান, দক্ষ। অথচ আরও অনেক দারুণ খেলোয়াড়ের মতো ওরও ফিট হতে লেগেছে কয়েকটা সেশন। দলের জন্য সাকিব অনেক বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে, সেটা শুধু টেকনিক্যালি নয়, ট্যাকটিক্যালিও। সেটা দলকেও অনেক বেশি উপকৃত করে।’

    যোশি অবশ্য অন্য স্পিনারদেরও কাছ থেকে দেখেছেন। গত বছরের মাঝামাঝিতে স্পিনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখেছেন তাইজুল, মিরাজদের উত্থান। তাঁদের নিয়েও পর্যবেক্ষণ আছে এই সাবেক ভারতীয় স্পিনারের, ‘তাইজুলকে দেখুন, সে কিন্তু টেস্ট ছাড়া অন্য কিছু খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু তারপরও সে অনেক বেশি সফল। কারণ সে যখনই খেলে নিজেকে উজাড় করে দেয়, তার মনযোগটা সেখানেই দেয়। আর মিরাজ গত দুই বছর ধরে দারুণ ধারাবাহিক। এখন তো নাঈম আছে, আর সাকিবের কথা নাই বা বললাম। দেশে এই স্পিনারদের চ্যালেঞ্জের কিছু নেই। দেশের বাইরে কী হয় সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’