• বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • " />

     

    ২০২০ এশিয়া কাপের আয়োজন স্বত্ব পাকিস্তানের

    ২০২০ এশিয়া কাপের আয়োজন স্বত্ব পাকিস্তানের    

    সংবাদ সম্মেলনে শুরুতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন রসিকতা করে বললেন, ‘আজকে বোর্ড সভায় যা হয়েছে সব গোপনীয়, বাইরে কিছু বলা যাবে না।’ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হওয়ার পর আজ প্রথম বৈঠক ছিল নতুন বোর্ডের, ঢাকার একটা পাঁচ তারকা হোটেলে তাতে উপস্থিত ছিলেন আইসিসির সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও পিসিবির সভাপতি এহসান মানি, বিসিসিআইয়ের সচিব অমিতাভ চৌধুরীসহ বোর্ডের অন্যান্যরা। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২০ সালে এশিয়া কাপের স্বাগতিক স্বত্ব পাকিস্তানের। সেপ্টেম্বরে সেই টুর্নামেন্ট কোথায় হবে, সেটা পাকিস্তানই ঠিক করবে।

    দুই বছর পর পরই এশিয়া কাপ হয়ে আসছে। এবারেই যেমন আমিরাতে ওয়ানডে ফরম্যাটে হয়েছে, দুই বছর পর তা হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। অক্টোবরে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তার আগে এশিয়া কাপ হবে বিশ্বকাপের একটা ড্রেস রিহার্স্যালও। স্বাগতিক স্বত্ব পাকিস্তানের, তবে সেই টুর্নামেন্ট সেখানে হবে কি না তা নিয়ে আছে ঘোর সংশয়। গত বার যেমন ভারত স্বাগতিক হলেও পাকিস্তানের সেখানে যেতে না পারার কারণে টুর্নামেন্ট হয়েছে আমিরাতে। পিসিবি সভাপতি এহসান মানি যদিও দাবি করলেন, টুর্নামেন্টটা পাকিস্তানে আয়োজন করা নিয়ে তারা আশাবাদী।

    প্রশ্ন উঠল, এশিয়া কাপ আয়োজনের বাইরে এসিসির উল্লেখযোগ্য কাজ কী? বিসিবি সভাপতি বললেন, আইসিসির সঙ্গে একটা চুক্তি সই করছে এসিসি, যেটির অধীনে এশিয়া অঞ্চলে ক্রিকেটের প্রসারে বেশ কিছু কাজ করা হবে। এহসানি আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললেন, আফগানিস্তানের মতো এশিয়া কয়েকটি দেশকে তারা ক্রিকেটের শীর্ষ স্তরে নিয়ে আসতে চান, ‘'এসিসির পরিকল্পনায় বেশ বড় একটি প্রোগ্রাম রয়েছে। আমরা অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে শুরু করতে চাই। এরপর অনূর্ধ্ব ১৯, মহিলা ক্রিকেট এবং ধারাবাহিকভাবে এশিয়া কাপ পর্যন্ত। তবে শুধুমাত্র ইভেন্টগুলোই এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং কোচ, আম্পায়ার, রেফারি সকলেই এর আওতাধীন। আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো ক্রিকেটকে আরও শক্তিশালী করে তোলা প্রত্যেকটি দেশে। আপনি দেখবেন ক্রিকেটের উন্নতি হাতে গোনা যে কয়েকটি দেশে হয়েছে এবং যারা খেলাটিতে বিনিয়োগ করেছে তাদের মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম। তারা আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দলে পরিণত হয়েছে। আমি আসলে আরও দুই-তিনটি সদস্য দেশের খোঁজ করছি এবং সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে চাইছি। ওমান, হংকং, সৌদি আরব তারা সকলেই ভালো পারফর্ম করছে। সুতরাং আমরা পরবর্তী ধাপে খেলাটি নিয়ে যেতে চাই। আশা করি আইসিসি এবং এসিসি মিলে এই দেশগুলোতে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করবে।'