সৌম্যকে শুরুতেই দেখতে চান মাশরাফি, কিন্তু...
সিরিজ শুরুর আগে ওপেনিং জুটি ছিল মধুর সমস্যা। আর এখন সেই চার ওপেনার হয়ে গেছে গলার কাঁটা। লিটন দাস প্রথম ম্যাচে রান পেলেও সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস নিচে নেমে গিয়ে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। সৌম্য দুই ইনিংসেই লোয়ার অর্ডারে নামায় তাঁর ওপর দায়টা বেশি বর্তানো যাচ্ছেন। তবে তিনে নেমে ইমরুল দুই ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশ্ন উঠে গেছে, শেষ ম্যাচে কি সৌম্য তাঁর জায়গায় আসবেন? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অঘোষিত ‘ফাইনালের’ আগে এ নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে আভাস দিলেন সৌম্যকে খেলানো হতে পারে তিনেই, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নেবেন টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ করে।
প্রথম ম্যাচের আগে প্রশ্ন ছিল, তামিমের সঙ্গী কে হবেন? আর সৌম্য, ইমরুল, লিটনের মধ্যে কে বাদ যাবেন? প্রথম ম্যাচে খেলিয়ে দেওয়া হলো চারজনকেই। বাদ পড়ে গেলেন মোহাম্মদ মিঠুন, যিনি খুব একটা খারাপ করছিলেন না। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচ মিলে মাত্র চার রান করলেন ইমরুল। সৌম্য প্রথম ম্যাচে ১৯ রান করলেও পরের ম্যাচে সাতে নেমে আউট হয়ে গেছেন ৬ রান করে।
চার জনকেই জায়গা করে দিতে গিয়ে কি ব্যাটিং ভারসাম্যটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না বাংলাদেশের? বিশেষ করে সৌম্যের প্রতি কি একটু অবিচার করা হয়ে যাচ্ছে না? এমন প্রশ্নে মাশরাফি নিজেও স্বীকার করলেন, ‘দেখুন সৌম্যর সেরা পজিশন কিন্তু ওপেনিং বা তিনে। তখন বলটা হার্ড থাকে, ওর জন্য শট খেলা সহজ নয়। শেষের দিকে নেমে ওর জন্য দ্রুত রান তোলা একটু কঠিন।’ তাহলে কি ইমরুলকে জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে সৌম্যের জন্য? এমন প্রশ্নে মাশরাফি একটু হেসেই দিলেন। এরপর যুক্তি দিলেন ইমরুলের পক্ষেও, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ সিরিজে ইমরুল যে পরিমাণ রান করেছে তাতে আমাদের বাস্তবতায় ওকে বাদ দেওয়া কঠিন। হ্যাঁ, এই দুই ম্যাচে ও রান পায়নি সেটাও ঠিক। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমি এখান থেকে দিতে পারব না। সেটা আসলে আলাপ করে বলতে হবে।’
প্রশ্ন উঠল সাকিব আল হাসানকে নিয়েও। তিনে বার বার সৌম্য-লিটন-ইমরুলের কথা বলা হলেও এই বছর ওয়ানডেতে সাকিবই ব্যাট করেছেন সেখানে। সেখানে ব্যাট করে এই বছরেই চারটি ফিফটি আছে সাকিবের। মাশরাফি অবশ্য মনে করছেন, সাকিব যে কোনো জায়গাতেই নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আপাতত তাই তাঁকে ব্যাটিং গভীরতা বাড়ানোর জন্য নিচের দিকেই বিবেচনা করা হচ্ছে। তার মানে কায়েসের জায়গায় হয়তো তিনে আসবেন সৌম্যই।