• " />

     

    মেন্ডিসে শেষ ইমার্জিং দলের ফাইনালের আশা

    মেন্ডিসে শেষ ইমার্জিং দলের ফাইনালের আশা    

    দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, কলম্বো
    বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ২৩৭ অল-আউট ৪৯.১ ওভার (মিজানুর ৭২, ইয়াসির ৬৬, করুনারত্নে ৪/৩১)
    শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ২৪১/৬, ৪৮.২ ওভার (মেন্ডিস ৯১*, বিরাক্কোডি ৪৭, শরিফুল ২/৫০) 
    শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল ৪ উইকেটে জয়ী 


    ইমার্শিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। কলম্বোতে প্রথমে ব্যাটিং করে মিজানুর রহমান ও ইয়াসির আলির ফিফটির পরও ২৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি নুরুল হাসানের দল। ‘সব্যসাচী বোলার’ কামিন্দু মেন্ডিসের ৯১ রানে ভর করে ১০ বল ও ৪ উইকেট বাকি রেখেই সে লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দল। 

    মিজানুর ও ইয়াসির- দুজন মিলে করেছেন ১৩৮ রান, বাকি ৯ ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন মাত্র ৯৯। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাও ভাল হয়নি বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের, ৪১ রানের ব্যবধানে তারা হারিয়েছে তিন উইকেট- জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাচ দিয়েছেন চামিকা করুনারত্নের বলে, শেহান জয়াসুরিয়ার বলে বোল্ড হয়েছেন নুরুল। করুনারত্নে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট নিয়েছেন ৩১ রান।  

    মিজানুরের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক হোসেন চেষ্টা করেছিলেন সে চাপ সামাল দেওয়ার, ৩৯ রান করে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে মোসাদ্দেক ক্যাচ দেওয়ায় ভেঙেছে সে জুটি। ইয়াসির আলির সঙ্গে মিজানুরের জুটি এরপর ৫২ রানের, ৭২ রান করে মিজানুরের রান-আউটে শেষ হয়েছে যেটা। মিজানুর খেলেছেন ৯৫ বল, ৭টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। আফিফ হোসেনের সঙ্গ পেয়ে ইয়াসির ৬ষ্ঠ উইকেটে ৩৭ বলে যোগ করেছেন ৪২ রান, করুনারত্নের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ইয়াসির করেছেন ৭২ বলে ৬৬ রান, ৩ চার ও ১ ছয়ে।  

    তবে এরপর আর গিয়ার বদলানো হয়নি বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের। শেষ ৫ উইকেটে তারা তুলতে পেরেছেন মাত্র ৩৭ রান। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটিই। 

    বাংলাদেশের মতো প্রায় একই অবস্থা ছিল শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলেরও। শুরুতে উইকেট হারিয়েছে তারা, ৫৯ রানে ৩টি। হাসিথা বোয়াগোদা প্রথমে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শফিউল ইসলামের বলে, আভিস্কা ফার্নান্ডো ক্যাচ দিয়েছেন নাঈম হাসানের বলে, সান্দুন বিরাক্কোডি আফিফের বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। তবে তার আগেই ৩৭ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি, ৬ চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়।  
     
    অধিনায়ক শাম্মু আশান শরিফুলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ১৮ রান। জয়াসুরিয়াকে নিয়ে ৫ম উইকেটে মেন্ডিস এরপর তুলেছেন ৬৬ রান, ৩৯ রান করে জয়াসুরিয়া হয়েছেন অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড। আর ৬ষ্ঠ উইকেটে আসেলা গুণারত্নের সঙ্গে মেন্ডিসের জুটিতে এসেছে ৬৪ রান। গুনারত্নে ২৪ রানে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত ৮৮ বল খেলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন মেন্ডিস, মেরেছেন ৯টি চার। 

    ১৫ ডিসেম্বর কলম্বোতে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।